Dhaka ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজার স্থিতিশীল থাকায় ভোলায় ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কেনা-বেচার ধুম পড়েছে ভোলার বাজারগুলোতে। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এ কেনা-বেচা। রমজানের জন্য পণ্য কিনেত দেখা গেছে সকল পেশার মানুষদের। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেই কেনা হচ্ছে তরি-তরকারিসহ নানা দ্রব্যাদি। বাজার দর কিছুটা নিন্মমূখী হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। খুচরা বিক্রেতারাও কথা শুনতে হচ্ছেনা ক্রেতাদের। তবে সয়াবিনসহ বিভিন্ন ভোজ্য তেলের দাম উর্ধ্বমূখী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

জানা গেছে, বিগত ১৬ বছরে রমজান মাসে বাজার দর স্থিতিশীল বা নিন্মমুখী দেখেনি সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ বছর প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিনে স্টক করার প্রবনতাও তেমন একটা দেখা যায়নি। অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভোলার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও মাংসের বাজার। দাম বৃদ্ধি পায়নি মুরগী, গরু ও ছাগলের মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০, খাসির মাংস ১০০০, দেশী মুরগি ৬শ’, লেয়ার ৩শ’ ৫০, সোনালি ৩শ’, ব্রয়লার ১শ’ ৯০ এবং দেশী হাঁস ৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে কমেছে সব ধরনের কাঁচা ভোগ্য পণ্যের দাম। প্রতি কেজি আলু-১৮, পেঁয়াজ-৩৫, রসুন-১শ’ ২০, আদা-৯০, ছোলা-১শ’, ডিম হালি প্রতি-৪১, শসা কেজি প্রতি-৩০, বেগুন কেজি প্রতি-৩০, কুমড়া কেজিপ্রতি-১০, টমেটো কেজি প্রতি- ১২, গাজর কেজিপ্রতি-৩০, পেঁপে কেজিপ্রতি-৩০, ফুলকপি কেজিপ্রতি-২০, কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি-৩২, শিম কেজিপ্রতি-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দ্রব্যের দর কম হওয়ায় মহা খুশি সাধারণ ক্রেতারা।

ক্রেতা মোঃ মহিবুল্লাহ বলেন, গত বছর সব কিছু ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে ছিল। দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্ত এ বছর ভোগ্য পণ্যের দাম অনেক কম। আমরা সমমূল্যে স্বাচ্ছন্দেই বাজার করতে পাড়ছি। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, শসা, বেগুন, গাঁজর, মরিচসহ সব কিছুর দাম কম। অপর ক্রেতা মোঃ সোলায়মান বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শসা, গাঁজর, টমেটো, বেগুন ইত্যাদির দাম আগের তুলনায় অনেক

সহনশীল পর্যায়ে এসেছে। তবে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেক চড়া। বর্তমানে বোতলজাত তেলের দাম ১৫/২০ টাকা বেড়েছে। কেনোলা ওয়েল নাম দিয়ে এগুলো বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন সব সময় বাজার মনিটরিং করেন। যদি সঠিকভাবে নিয়মিত মনিটরিং করে, তাহলে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী, এই রোজার মাসে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে তারা যেন বাজার মনিটরিং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

ভোলা কিচেন মার্কেটের মুরগী ব্যবসায়ী বজলু মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত মুরগীর বাজার দর স্থিতিশীল রয়েছে। রোজার কারণে বাড়েনি। তবে ব্রয়লারের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা কমেছে। অন্য মুরগীর দামও ১০/১৫ টাকা কমেছে। আপাততঃ দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই। তবে ভবিষ্যতে কি হয় জানিনা।

ভোলা কাঁচা বাজারের আড়ৎদার জসিম জানান, আগে এক ট্রাক মাল আনতে পথে পথে চাঁদা দিতে হতো। এখন অনেক জায়গায়ই দিতে হয় না। তাই মোটের উপর মালের দামের পর্তা কম হওয়ায় খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করতে পাড়ছি এবং তরিতরকারির মৌসূম হওয়ায়ও মালের দাম কমেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ময়মনসিংহে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ কোটি ১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর

বাজার স্থিতিশীল থাকায় ভোলায় ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি

Update Time : ০১:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কেনা-বেচার ধুম পড়েছে ভোলার বাজারগুলোতে। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এ কেনা-বেচা। রমজানের জন্য পণ্য কিনেত দেখা গেছে সকল পেশার মানুষদের। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেই কেনা হচ্ছে তরি-তরকারিসহ নানা দ্রব্যাদি। বাজার দর কিছুটা নিন্মমূখী হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। খুচরা বিক্রেতারাও কথা শুনতে হচ্ছেনা ক্রেতাদের। তবে সয়াবিনসহ বিভিন্ন ভোজ্য তেলের দাম উর্ধ্বমূখী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

জানা গেছে, বিগত ১৬ বছরে রমজান মাসে বাজার দর স্থিতিশীল বা নিন্মমুখী দেখেনি সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ বছর প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিনে স্টক করার প্রবনতাও তেমন একটা দেখা যায়নি। অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভোলার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও মাংসের বাজার। দাম বৃদ্ধি পায়নি মুরগী, গরু ও ছাগলের মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০, খাসির মাংস ১০০০, দেশী মুরগি ৬শ’, লেয়ার ৩শ’ ৫০, সোনালি ৩শ’, ব্রয়লার ১শ’ ৯০ এবং দেশী হাঁস ৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে কমেছে সব ধরনের কাঁচা ভোগ্য পণ্যের দাম। প্রতি কেজি আলু-১৮, পেঁয়াজ-৩৫, রসুন-১শ’ ২০, আদা-৯০, ছোলা-১শ’, ডিম হালি প্রতি-৪১, শসা কেজি প্রতি-৩০, বেগুন কেজি প্রতি-৩০, কুমড়া কেজিপ্রতি-১০, টমেটো কেজি প্রতি- ১২, গাজর কেজিপ্রতি-৩০, পেঁপে কেজিপ্রতি-৩০, ফুলকপি কেজিপ্রতি-২০, কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি-৩২, শিম কেজিপ্রতি-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দ্রব্যের দর কম হওয়ায় মহা খুশি সাধারণ ক্রেতারা।

ক্রেতা মোঃ মহিবুল্লাহ বলেন, গত বছর সব কিছু ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে ছিল। দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্ত এ বছর ভোগ্য পণ্যের দাম অনেক কম। আমরা সমমূল্যে স্বাচ্ছন্দেই বাজার করতে পাড়ছি। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, শসা, বেগুন, গাঁজর, মরিচসহ সব কিছুর দাম কম। অপর ক্রেতা মোঃ সোলায়মান বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শসা, গাঁজর, টমেটো, বেগুন ইত্যাদির দাম আগের তুলনায় অনেক

সহনশীল পর্যায়ে এসেছে। তবে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেক চড়া। বর্তমানে বোতলজাত তেলের দাম ১৫/২০ টাকা বেড়েছে। কেনোলা ওয়েল নাম দিয়ে এগুলো বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন সব সময় বাজার মনিটরিং করেন। যদি সঠিকভাবে নিয়মিত মনিটরিং করে, তাহলে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী, এই রোজার মাসে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে তারা যেন বাজার মনিটরিং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

ভোলা কিচেন মার্কেটের মুরগী ব্যবসায়ী বজলু মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত মুরগীর বাজার দর স্থিতিশীল রয়েছে। রোজার কারণে বাড়েনি। তবে ব্রয়লারের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা কমেছে। অন্য মুরগীর দামও ১০/১৫ টাকা কমেছে। আপাততঃ দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই। তবে ভবিষ্যতে কি হয় জানিনা।

ভোলা কাঁচা বাজারের আড়ৎদার জসিম জানান, আগে এক ট্রাক মাল আনতে পথে পথে চাঁদা দিতে হতো। এখন অনেক জায়গায়ই দিতে হয় না। তাই মোটের উপর মালের দামের পর্তা কম হওয়ায় খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করতে পাড়ছি এবং তরিতরকারির মৌসূম হওয়ায়ও মালের দাম কমেছে।