Dhaka ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে হোটেল ও দোকান ভাংচুর,মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ৩ সমন্বয়ক

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় একটি খাবার হোটেল ও মুদি দোকান ভাংচুর করায় নাটোর সদরের ৩ সমন্বয়ককে আটকের পর মারধর করে পুলিশে দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় হোটেল মালিকসহ ৩জন আহত হয়েছেন। পরে উভয়পক্ষের সমঝোতায় জরিমানা ও মুচলেকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ছাড়া পাওয়া সমন্বয়করা হলেন, নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), মল্লিকহাটি গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫) ও উপর বাজার এলাকার সেলিম রেজার ছেলে রেজা রাব্বানী হাবিব (২৪)।

এ বিষয়ে  ক্ষতিগ্রস্ত  আশা হোটেল এন্ড রেষ্টরেন্টের মালিক আলী আশরাফ জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় নতুন দলের আত্বপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নাটোর থেকে আসা ছাত্র-জনতার ৩টি বাস হোটেলের সামনে থামানো হয়। এসময় হোটেল অভ্যন্তরের দোকানে কেক কেনা নিয়ে সমন্বয়কদের সাথে তর্কবিতর্ক হয় এবং তাৎক্ষনিক বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু ঢাকা থেকে ফেরার পথে শনিবার ভোর ৬টার দিকে নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হোটেলে ঢুকে হোটেল ও দোকান ভাংচুর করা হয়। বাধা দিলে এক কর্মচারী ও আমাকেসহ ৩জনকে মারধর করা হয়েছে। এরপর স্থানীয়রা এসে ৩ সমন্বয়ককে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে পুলিশে সোর্পদ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। শনিবার  বিকেলে  মুচলেকায় ৩ সমন্বয়ক ছেড়ে দেওয়া হয়। ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মিমাংসা বৈঠকের সময় উভয়পক্ষের লোকজনসহ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সিরাজগঞ্জে হোটেল ও দোকান ভাংচুর,মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ৩ সমন্বয়ক

Update Time : ১০:০১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় একটি খাবার হোটেল ও মুদি দোকান ভাংচুর করায় নাটোর সদরের ৩ সমন্বয়ককে আটকের পর মারধর করে পুলিশে দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় হোটেল মালিকসহ ৩জন আহত হয়েছেন। পরে উভয়পক্ষের সমঝোতায় জরিমানা ও মুচলেকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ছাড়া পাওয়া সমন্বয়করা হলেন, নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), মল্লিকহাটি গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫) ও উপর বাজার এলাকার সেলিম রেজার ছেলে রেজা রাব্বানী হাবিব (২৪)।

এ বিষয়ে  ক্ষতিগ্রস্ত  আশা হোটেল এন্ড রেষ্টরেন্টের মালিক আলী আশরাফ জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় নতুন দলের আত্বপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নাটোর থেকে আসা ছাত্র-জনতার ৩টি বাস হোটেলের সামনে থামানো হয়। এসময় হোটেল অভ্যন্তরের দোকানে কেক কেনা নিয়ে সমন্বয়কদের সাথে তর্কবিতর্ক হয় এবং তাৎক্ষনিক বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু ঢাকা থেকে ফেরার পথে শনিবার ভোর ৬টার দিকে নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হোটেলে ঢুকে হোটেল ও দোকান ভাংচুর করা হয়। বাধা দিলে এক কর্মচারী ও আমাকেসহ ৩জনকে মারধর করা হয়েছে। এরপর স্থানীয়রা এসে ৩ সমন্বয়ককে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে পুলিশে সোর্পদ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। শনিবার  বিকেলে  মুচলেকায় ৩ সমন্বয়ক ছেড়ে দেওয়া হয়। ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মিমাংসা বৈঠকের সময় উভয়পক্ষের লোকজনসহ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।