দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার সরকারি নিষেধাজ্ঞা দিলেও মানছে না ভোলার মনপুরায় জেলেরা। প্রতিদিনই শত শত নৌকা নিয়ে মেঘনায় অবাধে মাছ শিকারে করছে জেলেরা। এতে মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তারে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও মেঘনায় অভিযান পরিচালনা না করায় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় জেলে ও মৎস্য আড়তদারদের। এদিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার বন্ধ করতে সোমবার থেকে অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন।
শনিবার ও রোববার উপজেলার রামনেওয়াজ, হাজিরহাট, দাসেরহাট, মাস্টারহাট, লতাখালি, জনতা ও কোড়ালিয়া মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনায় দেখা গেছে, জেলেরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে অবাধে। এছাড়া নিষিদ্ধ বেহুন্দি ও বেড়া জাল দিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। আবার জেলেদের ধরা জাটকা, ছোট ছোট পোয়া, পাঙ্গাসের পোনা অবাধে বিক্রি করছে মৎস্য আড়ত ও হাট-বাজারে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ মার্চ (শুক্রবার) রাত ১২ থেকে ৩০ এপ্রিল রাত ১২ টা পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জাটকা সহ সব ধরনের মাছ ধরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাটকা সহ সকল ধরনের মাছ পরিবহন, বিক্রি ও সংরক্ষণও নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা মানছেন না মনপুরা উপজেলার জেলেরা। তারা বিভিন্ন জালের সাথে নিষিদ্ধ বেহুন্দি ও বেড়া জাল দিয়ে মাছ ধরছেন।
স্থানীয় কামাল, জামাল, হোসেন, ইব্রাহীম, রাফেজ, আলাউদ্দিনসহ একাধিক জেলেরা জানান, প্রতি বছর এই সময় মেঘনায় প্রশাসনের অভিযানের কারণে জেলেরা মেঘনায় মাছ শিকার করে না। কিন্তু এই বছর মেঘনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে মাছ শিকার করছে জেলেরা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, অফিসের কাজে ভোলায় আছি। মনপুরায় এসে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও কোস্টগার্ড মেঘনায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিখন বনিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মৎস্য অফিসার না থাকায় মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হয় নাই। তিনি (মৎস্য অফিসার) আসলেই মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।