Dhaka ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাক ফাটিয়ে আটক হলেন ছাত্রদল নেতা

যশোর শহরের জেল রোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ঘুষি মেরে নাক ফটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শাওন ইসলাম নামের ওই ছাত্রদল নেতাকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো. শাহিনের ছেলে শাওন। জানা গেছে তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। আর ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাম কে.এম শরিফুল ইসলাম।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কে.এম শরিফুল ইসলাম শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ডিউটি করছিলেন। সেখানে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাওন। রাস্তায় যানজট তৈরি হলে তাকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরিফুল। এ সময় শাওন তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাওন ঘুষি মেরে ট্রাফিক সদস্য শরিফুলের নাক ফাঁটিয়ে দেন।

এ সময় পথচারীরা জড়ো হয় পুলিশ সদস্যকে রক্ষা করে। খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশ অফিস থেকে কয়েকজন‌ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে। পরে তাকে কোতয়ালি থানায় সোপার্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী ট্রাফিক সদস্য শরিফুল বলেন, ‘হাসপাতাল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এ সময় শাওন নামের এক যুবক সড়কের বাম পাশে মোটরসাইকেল রাখে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ওই যুবককে গাড়িটি সরানোর জন্য বলি। তখন শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে, ‘‘তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস। তোর এতো সাহস হয় কিভাবে।’’ এরপর পুনরায় তাকে গাড়ি সরাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন আমাকে মারধর করতে থাকে। পরে পথচারী ও সহকর্মীরা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ সদস্যকে মারধর করায় শাওন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেকানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর বলেন, ‘সিটি কলেজ ছাত্রদলের সেক্রেটারি শাওন ইসলাম সবুজের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়েছে শুনেছি। নাক ফাটানোর বিষয়টি জানি না। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। ব্যক্তির দায় তো সংগঠন নিবে না।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাক ফাটিয়ে আটক হলেন ছাত্রদল নেতা

Update Time : ০৯:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

যশোর শহরের জেল রোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ঘুষি মেরে নাক ফটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শাওন ইসলাম নামের ওই ছাত্রদল নেতাকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো. শাহিনের ছেলে শাওন। জানা গেছে তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। আর ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাম কে.এম শরিফুল ইসলাম।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কে.এম শরিফুল ইসলাম শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ডিউটি করছিলেন। সেখানে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাওন। রাস্তায় যানজট তৈরি হলে তাকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরিফুল। এ সময় শাওন তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাওন ঘুষি মেরে ট্রাফিক সদস্য শরিফুলের নাক ফাঁটিয়ে দেন।

এ সময় পথচারীরা জড়ো হয় পুলিশ সদস্যকে রক্ষা করে। খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশ অফিস থেকে কয়েকজন‌ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে। পরে তাকে কোতয়ালি থানায় সোপার্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী ট্রাফিক সদস্য শরিফুল বলেন, ‘হাসপাতাল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এ সময় শাওন নামের এক যুবক সড়কের বাম পাশে মোটরসাইকেল রাখে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ওই যুবককে গাড়িটি সরানোর জন্য বলি। তখন শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে, ‘‘তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস। তোর এতো সাহস হয় কিভাবে।’’ এরপর পুনরায় তাকে গাড়ি সরাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন আমাকে মারধর করতে থাকে। পরে পথচারী ও সহকর্মীরা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ সদস্যকে মারধর করায় শাওন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেকানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর বলেন, ‘সিটি কলেজ ছাত্রদলের সেক্রেটারি শাওন ইসলাম সবুজের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়েছে শুনেছি। নাক ফাটানোর বিষয়টি জানি না। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। ব্যক্তির দায় তো সংগঠন নিবে না।’