Dhaka ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন, সোলাইমান সেলিম

হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায়।

বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় সোলাইমান সেলিমসহ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম ও অন্যান্য আসামিদের।

এ সময় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পেছনে হাত রেখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করে এজলাসে তোলা হয় তাদের। আসামিরা ওকালত নামায় সাক্ষরসহ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে বিচারক আসেন। এসময় এজলাসে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলেন, অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।

এসময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।

এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির যেভাবে ভাঙা হয়েছে। বুঝা শেষ।

এরপর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোলাইমান সেলিমকে তার বক্তব্য যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ এর বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

নির্বাচন ঘিরে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন, সোলাইমান সেলিম

জন দেখেছেন : ০১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায়।

বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় সোলাইমান সেলিমসহ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম ও অন্যান্য আসামিদের।

এ সময় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পেছনে হাত রেখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করে এজলাসে তোলা হয় তাদের। আসামিরা ওকালত নামায় সাক্ষরসহ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে বিচারক আসেন। এসময় এজলাসে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলেন, অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।

এসময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।

এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির যেভাবে ভাঙা হয়েছে। বুঝা শেষ।

এরপর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোলাইমান সেলিমকে তার বক্তব্য যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ এর বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।