Dhaka ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগার মহাদেবপুরে প্রকল্পে মাটির পরিবর্তে বয়লারের ছাঁই, ড্রেনের ময়লা ব্যবহারের অভিযোগ

নওগাঁর মহাদেবপুরে এবার সরকারি প্রকল্পে মাটির পরিবর্তে বয়লারের ছাঁই, ড্রেন পরিস্কার করা ময়লা আবর্জনা আর মজা পুকুরের পঁচা গলা কাদা মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খোদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে এসব ব্যবহার করায় উপজেলা জুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা  সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার ও তার লোকজনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি অফিসের ডরমেটোরির সামনের অংশ ভরাট করা হচ্ছে। এখানে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বয়লারের ছাঁই ও ড্রেন পরিস্কার করা ময়লা আবর্জনা। উপজেলা নির্বাচন অফিসের চারদিক ভরাট করা হচ্ছে মজা পুকুরের পঁচা গলা কালো কাদা মাটি দিয়ে। এছাড়া এই ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবনের সামনের অংশও ভরাট করা হচ্ছে এসব কাদা মাটি দিয়ে।

বিষয়টি জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে এই কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী জানান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা প্রকল্পের আওতায় দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার প্রকল্পের সভাপতি রয়েছেন। বয়লারের ছাঁই, ড্রেনের ময়লা আর কাদা মাটির বিষয়ে তিনি জানান, দোঁয়াস মাটি ব্যবহার করলে ভালো হতো।

জানতে চাইলে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাস্টার রাইহান আলম জানান, তিনি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার ফেরদৌসী বেগম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন যে, কয়েক দিন আগে উপজেলা সদরের ড্রেনগুলো পরিস্কার করে যে ময়লা আবর্জনা উঠে আসে সেগুলো প্রকল্পে ব্যবহার করেছেন। এর উপর মাটি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুজ্জামানের মোবাইলফোনে রিং দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরে ভ্যান-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ৩

নওগার মহাদেবপুরে প্রকল্পে মাটির পরিবর্তে বয়লারের ছাঁই, ড্রেনের ময়লা ব্যবহারের অভিযোগ

Update Time : ০৯:৪৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

নওগাঁর মহাদেবপুরে এবার সরকারি প্রকল্পে মাটির পরিবর্তে বয়লারের ছাঁই, ড্রেন পরিস্কার করা ময়লা আবর্জনা আর মজা পুকুরের পঁচা গলা কাদা মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খোদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে এসব ব্যবহার করায় উপজেলা জুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা  সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার ও তার লোকজনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি অফিসের ডরমেটোরির সামনের অংশ ভরাট করা হচ্ছে। এখানে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বয়লারের ছাঁই ও ড্রেন পরিস্কার করা ময়লা আবর্জনা। উপজেলা নির্বাচন অফিসের চারদিক ভরাট করা হচ্ছে মজা পুকুরের পঁচা গলা কালো কাদা মাটি দিয়ে। এছাড়া এই ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবনের সামনের অংশও ভরাট করা হচ্ছে এসব কাদা মাটি দিয়ে।

বিষয়টি জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে এই কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী জানান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ত্বরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা প্রকল্পের আওতায় দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার প্রকল্পের সভাপতি রয়েছেন। বয়লারের ছাঁই, ড্রেনের ময়লা আর কাদা মাটির বিষয়ে তিনি জানান, দোঁয়াস মাটি ব্যবহার করলে ভালো হতো।

জানতে চাইলে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাস্টার রাইহান আলম জানান, তিনি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার ফেরদৌসী বেগম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন যে, কয়েক দিন আগে উপজেলা সদরের ড্রেনগুলো পরিস্কার করে যে ময়লা আবর্জনা উঠে আসে সেগুলো প্রকল্পে ব্যবহার করেছেন। এর উপর মাটি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুজ্জামানের মোবাইলফোনে রিং দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।