নওগাঁর পোরশায় লোকালয়ের মধ্যে চলছে অবৈধ ইটভাটা। ইটভাটা ঘেষেই রয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আঞ্চলিক মহাসড়ক, এলজিইডি’র পাকা সড়ক, গ্রাম, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ভাটার চারিদিকেই রয়েছে বিশালাকারের আম বাগান ও ক্ষেত ক্ষামার। এর মধ্যেই চলছে পরিবেশ বিধ্বংসি ইটভাটা। এমন সব ইটভাটা চালানোর জন্য নেই প্রশাসনের দেওয়া কোন বৈধ অনুমোদন, নেই কোন কাগজপত্র, নেই কোন ছাড়পত্র।
জানা যায়, ইটভাটার ধোঁয়ায় যে কার্বন মনোঅক্সাইড থাকে তা বাতাসকে যেমন দূষিত করে, তেমনি গাছপালা এবং ফসলের ক্ষতি করে। এবং ইটভাটার বর্জ্যে যে সালফার থাকে তা নদী বা জলাশয়কে দূষিত করে। ইটভাটার আগুনের প্রচন্ড তাপে ভাটার আশপাশের ফসলি জমি নিষ্ফলা হয়ে যায়।
জানা গেছে, পোরশা উপজেলায় বর্তমানে ১১টি ইটভাটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ইটভাটার নেই বৈধ কোন কাগজপত্র। এসব অবৈধ ইটভাটায় অবৈধভাবে ভাটার আশপাশের আবাদী জমি থেকে ব্যাপক পরিমানে মাটি কেটে আনা হয় ইট তৈরি করার কাজে। পোড়ানো হয় কাঠ-খড়িও।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনূর রশিদ বলেন, ইটভাটার ছাই অনেক ক্ষতিকারক। আর লোকালয়ের ভাটা মানুষের স্বাস্থের জন্য অনেক ক্ষতি। পাশাপাশি আম বাগান ও অন্যান্য ফসলের জন্য ব্যাপক ক্ষতি করে।
সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় ৩টি ইটভাটায় ৯০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার নিতপুরের কেজেকে ইটভাটায় ২০হাজার, কেইবিসি ইটভাটায় ২০হাজার ও তারেক জিয়া মোড়ের সেভেন স্টার ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) নাবিলা ফেরদৌস। ইট প্রস্তত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ মোতাবেক সঠিক কাগজপত্র না থাকায় উপজেলার এ জরিমানা আদায় করেন তিনি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।