Dhaka ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাকিলের কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে এভারেস্ট শিখরে ‘সী টু সামিট’ অভিযান শুরু

প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশরক্ষায় টেকসই সমাধান প্রচারের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ইয়ুথ অ্যাডভোকেট হিসেবে,পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০ টায় কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে হিমালয়ের সর্বোচ্চ পর্বতশিখর মাউন্ট এভারেস্ট যাত্রা শুরু করবেন ।

পতাকা-পদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অভিযানের যাত্রার শুভ সূচনা করার হবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন ইউএনডিপি এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সহ আরো অনেকে ।

আশা করা যায়, এই অভিযানে ৯০ দিনে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের উপর দিয়ে প্রায় এক হাজার তিন শত কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট-এর  ২৯,০৩১ ফুট উঁচু শিখরে শিখর আরোহণ করবেন। এ অভিযানে সাহায্য করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। টাইটেল স্পনসর হিসেবে আছে প্রাণ , গিয়ার পার্টনার হিসেবে মাকালু-ই- ট্রেডার্স নেপাল, সিস্টেমা বাংলাদেশ এবং অ্যাডভেন্সার প্রিয় মানুষদের সহায়তা।

শাকিল তার সমুদ্র সমতল থেকে এভারেস্ট শিখরে অভিযান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করছেন। এই অভিযানের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং টেকসই উপায়ে লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরবেন। কক্সবাজার থেকে এভারেস্ট বেসক্যাম্প পর্যন্ত ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দেওয়ার পর তিনি এভারেস্টের চূড়ায় উঠবেন। তার লক্ষ্য হলো, দুর্গম অভিযানও পরিবেশের ক্ষতি না করেই অভিযান সম্পন্ন করা সম্ভব।

এর আগে শাকিল নেপালের ১,৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল” সফলভাবে সম্পন্ন করা প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এবার তিনি তার অভিযানের পথে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবেন, যা সচেতনতা তৈরি করবে কীভাবে প্রকৃতির দূষণ, পর্যটন এবং পাহাড়ি সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করছে।

একজন যুব অ্যাডভোকেট হিসেবে শাকিলের এই যাত্রা প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান প্রচারের প্রতিশ্রুতি আরও সুদৃঢ় করবে, যা পরিবেশ ও মানুষের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।  অভিযানটি সম্পন্ন হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের হাতছানিও আছে তাঁর সামনে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মোংলায় বিদেশী জাহাজে চুরির প্রস্তুতির সময় অস্ত্রসহ পাঁচ জন কে আটক করেছে কোস্টগার্ড

শাকিলের কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে এভারেস্ট শিখরে ‘সী টু সামিট’ অভিযান শুরু

Update Time : ০৪:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশরক্ষায় টেকসই সমাধান প্রচারের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ইয়ুথ অ্যাডভোকেট হিসেবে,পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০ টায় কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে হিমালয়ের সর্বোচ্চ পর্বতশিখর মাউন্ট এভারেস্ট যাত্রা শুরু করবেন ।

পতাকা-পদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অভিযানের যাত্রার শুভ সূচনা করার হবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন ইউএনডিপি এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সহ আরো অনেকে ।

আশা করা যায়, এই অভিযানে ৯০ দিনে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের উপর দিয়ে প্রায় এক হাজার তিন শত কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্ট-এর  ২৯,০৩১ ফুট উঁচু শিখরে শিখর আরোহণ করবেন। এ অভিযানে সাহায্য করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। টাইটেল স্পনসর হিসেবে আছে প্রাণ , গিয়ার পার্টনার হিসেবে মাকালু-ই- ট্রেডার্স নেপাল, সিস্টেমা বাংলাদেশ এবং অ্যাডভেন্সার প্রিয় মানুষদের সহায়তা।

শাকিল তার সমুদ্র সমতল থেকে এভারেস্ট শিখরে অভিযান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে হেঁটে মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করছেন। এই অভিযানের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং টেকসই উপায়ে লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরবেন। কক্সবাজার থেকে এভারেস্ট বেসক্যাম্প পর্যন্ত ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দেওয়ার পর তিনি এভারেস্টের চূড়ায় উঠবেন। তার লক্ষ্য হলো, দুর্গম অভিযানও পরিবেশের ক্ষতি না করেই অভিযান সম্পন্ন করা সম্ভব।

এর আগে শাকিল নেপালের ১,৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল” সফলভাবে সম্পন্ন করা প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এবার তিনি তার অভিযানের পথে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবেন, যা সচেতনতা তৈরি করবে কীভাবে প্রকৃতির দূষণ, পর্যটন এবং পাহাড়ি সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করছে।

একজন যুব অ্যাডভোকেট হিসেবে শাকিলের এই যাত্রা প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান প্রচারের প্রতিশ্রুতি আরও সুদৃঢ় করবে, যা পরিবেশ ও মানুষের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।  অভিযানটি সম্পন্ন হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের হাতছানিও আছে তাঁর সামনে।