রাজশাহীর তানোরে বিয়ের কথা বলে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে খাইরুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সরনজাই ইউনিয়নের কাচারিপাড়া গ্রামের সাজ্জাদের ছেলে খাইরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩ মার্চ রাতে ওই নারীর বাড়িতে খাইরুল মোবাইল কার্ড দেয়ার নামে ডেকে আনে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে । এসময় প্রতিবেশিরা জানতে পেরে খাইরুল আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয়। সংবাদ পেয়ে খাইরুলের পিতা সাজ্জাদ ও একই আল আমিন সহ লোকজন এসে খাইরুলকে চিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ওই নারীর মোবাইলে থাকা বিভিন্ন প্রমান লোপাট করে আলআমিন।
ওই নারী জানান, মোবাইলে পরিচয় হওয়ার পর সে আমার সাথে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। আলআমিন মোবাইলে থাকা প্রমান ডিলেট করে দিয়ে মিমাংসা করে দিতে চায়। কিন্তু আমি খাইরুলকে বিয়ে করতে চায়।
খাইরুলকে না পেয়ে তার পিতা সাজ্জাদ জানান, আমার ছেলে কোন অপরাধ করেনি। সে এখন কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান সে বাড়িতে নাই।
এ ঘটনায় পরের দিন তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে খাইরুল গা ঢাকা দিয়েছেন। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে ওই নারী ও তাঁর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে খাইরুলের লোকজন। স্থানীয় প্রভাবশালীরাও মীমাংসার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, স্বামী পরিত্যক্ত ওই নারীর অভিযোগ আমলে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। খাইরুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।