Dhaka ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্টারলিংকের চুক্তি সই

বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে থাকায় মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা স্টারলিংকের একটি দল স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। এ সহযোগিতার আওতায় স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দিচ্ছে।

শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, স্টারলিংকের দলটি সফরের সময় বাংলাদেশের কয়েকটি সম্ভাব্য স্থানের তথ্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানায়। কিছু স্থানে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সম্পতি ব্যবহার করে সহায়তা দিচ্ছে, আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের কথা বিবেচনা করছে।

বিশদ স্থান ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর, দূরবর্তী অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবমুক্ত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এটি নিরবচ্ছিন্ন ও উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কাভারেজ সীমিত এবং দূরবর্তী অঞ্চলে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। স্টারলিংকের আগমন আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে যৌক্তিক একটি মডেল বাস্তবায়নে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আমন্ত্রণ জানিয়ে স্পেস-এক্স এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান। তিনি ইলন মাস্ককে জানান, বাংলাদেশ সফরে তিনি দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। যারা এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান উপকারভোগী হবে।

আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টারলিংক সেবা চালুর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেস-এক্স টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের মধ্যে এক দীর্ঘ টেলিফোন আলাপ হয়। তারা ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

জামায়াত কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না: গয়েশ্বর

বাংলাদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্টারলিংকের চুক্তি সই

জন দেখেছেন : ১০:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে থাকায় মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা স্টারলিংকের একটি দল স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। এ সহযোগিতার আওতায় স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দিচ্ছে।

শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, স্টারলিংকের দলটি সফরের সময় বাংলাদেশের কয়েকটি সম্ভাব্য স্থানের তথ্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানায়। কিছু স্থানে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সম্পতি ব্যবহার করে সহায়তা দিচ্ছে, আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের কথা বিবেচনা করছে।

বিশদ স্থান ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর, দূরবর্তী অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবমুক্ত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এটি নিরবচ্ছিন্ন ও উন্নতমানের সেবা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কাভারেজ সীমিত এবং দূরবর্তী অঞ্চলে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। স্টারলিংকের আগমন আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে যৌক্তিক একটি মডেল বাস্তবায়নে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আমন্ত্রণ জানিয়ে স্পেস-এক্স এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান। তিনি ইলন মাস্ককে জানান, বাংলাদেশ সফরে তিনি দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। যারা এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান উপকারভোগী হবে।

আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টারলিংক সেবা চালুর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেস-এক্স টিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও ইলন মাস্কের মধ্যে এক দীর্ঘ টেলিফোন আলাপ হয়। তারা ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করেন।