ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে, বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ। এসব দলের মতামতের উপর নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ড. আলী রীয়াজ বলেন, ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। এসব দলের মতামতের উপর নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। বৃহস্পতিবারের (১৩ মার্চ) মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাদের মতামত ঐকমত্য কমিশনকে জানাবে বলেও আশা করেন৷ তিনি বলেন, যখন দলের মতামত পাওয়া যাবে, সেই সময় থেকেই আলোচনা শুরু হবে। কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করতে চায়। স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য কমিশনের ছয় মাস মেয়াদের মধ্যেই তাদের কাজ শেষ করতে চায়। এ লক্ষ্যে ৩৪টি দলই একমত হলে সংস্কারের জন্য ভালো হবে। আর ১৬৬টি সুপারিশ দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। এরমধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ রয়েছে ৭০টি। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে ২৭টি আর বিচার বিভাগ বিষয় সংক্রান্ত ২৩টি। জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সুপারিশ ২৬টি। দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশ রয়েছে ২০টি। বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনের বিবেচনার চেয়ে রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি-এমন অভিমত ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ আবারও বলেন, তবে রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে নির্বাচনের কোনো বিভেদ কিংবা সম্পর্ক নেই। গণপরিষদের মাধ্যমে নতুনভাবে সংবিধান সংস্কারের কথা অতীতেও হয়েছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছে জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব বলেও বিশ্বাস করি। ভবিষ্যত নির্মাণের পথরেখা তৈরি করতে চায় ঐকমত্য কমিশন।
সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা ও গ্রহণ করার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। যা আজ জাতীয় সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে।