Dhaka ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিক শিক্ষায় গতি আনতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে

দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘ্ন করতে শূন্য পদগুলোতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।তিনি বলেছেন,দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘মিডডে মিল’ চালু করা হয়েছে। যা অনেক শিশুকে উৎসাহিত করবে স্কুল অবস্থান করতে এবং পড়াশোনা চালাতে। এছাড়াও যেসব শিশু অর্থনৈতিক কারণে ঝরে পড়ছে তাদের জন্য আলাদা ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘স্কিলফো’ নামে একটি প্রকল্প চলছে। যেখানে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনমুখী বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

যেন তারা কর্মক্ষম এবং উপার্জনক্ষম হয়ে ওঠে।গত রোববার সকালে কক্সবাজারে ‘মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।জেলা প্রশাসক কার্যালয়েে সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন উপদেষ্টা।এসময় উপদেষ্টা ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,আমাদের লক্ষ্য হলো, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষে মাতৃভাষায় সুন্দর করে পড়তে পারবে, তার মনোভাব লিখে প্রকাশ করতে পারবে এবং প্রাথমিক গাণিতিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এটিই আমাদের বেসিক টার্গেট।সভায় ৩টি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন শিক্ষাখাতের সাথে সংশ্লিরা।

চ্যালেঞ্জগুলো হলো,  কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমে জটিলতা থাকায় শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শিশুশ্রম এর সুযোগ বেশি থাকায় কিছু শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো: সামশুজ্জামান ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

প্রাথমিক শিক্ষায় গতি আনতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে

Update Time : ১২:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘ্ন করতে শূন্য পদগুলোতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।তিনি বলেছেন,দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘মিডডে মিল’ চালু করা হয়েছে। যা অনেক শিশুকে উৎসাহিত করবে স্কুল অবস্থান করতে এবং পড়াশোনা চালাতে। এছাড়াও যেসব শিশু অর্থনৈতিক কারণে ঝরে পড়ছে তাদের জন্য আলাদা ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘স্কিলফো’ নামে একটি প্রকল্প চলছে। যেখানে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তাদের জীবনমুখী বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

যেন তারা কর্মক্ষম এবং উপার্জনক্ষম হয়ে ওঠে।গত রোববার সকালে কক্সবাজারে ‘মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।জেলা প্রশাসক কার্যালয়েে সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন উপদেষ্টা।এসময় উপদেষ্টা ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,আমাদের লক্ষ্য হলো, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষে মাতৃভাষায় সুন্দর করে পড়তে পারবে, তার মনোভাব লিখে প্রকাশ করতে পারবে এবং প্রাথমিক গাণিতিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এটিই আমাদের বেসিক টার্গেট।সভায় ৩টি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন শিক্ষাখাতের সাথে সংশ্লিরা।

চ্যালেঞ্জগুলো হলো,  কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমে জটিলতা থাকায় শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শিশুশ্রম এর সুযোগ বেশি থাকায় কিছু শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো: সামশুজ্জামান ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক দেবব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।