সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের হামকুড়িয়া খানপাড়া গ্রামের প্রভাষক রফিকুল ইসলামের তার রাড়ির সামনে খড়ের পালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশির সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে প্রতিবেশী ইয়ারুল হক তার লোকজন নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনকে বাড়ি থেকে বেড় হলে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম গত ৩ মার্চ তার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাড়াশ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
তাড়াশ থানায় অভিযোগের কথা শুনেই ইয়ারুল হক ও তার লোকজন ৬ মার্চ সন্ধ্যয় রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের উপড় হামলা চালায়। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে তাদের উপর চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এসময় অহত হয় রফিকুলের ভাই মানিক, ভাবী রাশিদা পারভীন, ভাতিজা রাহাত ও রাকিবুল এবং রফিকুলের স্ত্রী মহিমা খাতুন পলি।
পরে এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম। মামলার সূত্রে জানান যায়, গত সোমবার (৩ মার্চ) খড়ের পালা দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হত্যার হুমকি দেয় ইয়ারুল গং। ঐদিন রফিকুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ায়, বুধবার (৬ মার্চ) পুলিশ আসা পর ঐ দিন সন্ধ্যয় ইয়ারুল হক, কামরুল হোসেন, মেরি খাতুন, মিরা খাতুন, কদভানু, রোজিনা খাতুন, ঝর্ণা খাতুনসহ একাধিক ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল তার ভাতিজা ও তার পরিবারের মহিলা সদস্যদের আক্রমণ করে বসে। এসময় তার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার সাহস পাস কিভাবে। আমরা চাইলে তোরা এলাকায় থাকতে পারবি নইলে পারবিনা। এই বলেই এলাপাথারী হামলা চালায়। এতে রাশিদা পারভীন ও তার ছেলে রাহাত মাধায় গুরত্বর জখম হয়। এছাড়ার বাকিরা গুরুত্বর আঘাতের শিকার হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রাহাত ও মামলার বাদী রফিুকুল ইসলাম জানান, ইয়ারুল হক দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছিলো। আওয়ামীলীগের সরকার পতন হলেও তার সন্ত্রসী কর্মকান্ড এখনো চলমান আছে। তাই পুলিশে জানানোর পরো তিনি আমাদের বাড়ি ঘেরাও করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে ।
এ বিষয়ে ইয়ারুল হক বলেন, এঘটনাটি এলাকার প্রধানদের জানানো হয়েছে। আঞ্চলিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার সাব ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন বলেন, একটি অভিযোগ আমদের কাছে এসেছে। আর কোর্টের মামলার কাগজটি হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।