Dhaka ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈরে শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার সকালে শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেছে সহকর্মীরা। এসময় উভয় সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। খবর পেয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী, কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় গ্লোবাস ফ্যাশন লিমিটেড নামে পোষাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার ওই কারখানায় এক নারী শ্রমিককে নির্যাতনের প্রতিবাদ করে আসছিলেন তার সহকর্মীরা। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে শ্রমিকরা। তাদের দাবিগুলো কারখানা কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পরের দিন রবিবার থেকে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। নোটিশে বলা হয়েছে, শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী, ১২ মার্চ থেকে গ্লোবাস কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই কারখানায় যান শ্রমিকরা। এসময় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তারা ওই এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন।

তাদের অবরোধের ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা পাশের মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানা ভাংচুর করে। এতে ওই মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে প্রায় আধা ঘন্টা চরম ভোগান্তিতে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে ওই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করলে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা না সড়লে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কালিয়াকৈরে শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি

Update Time : ০৮:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার সকালে শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেছে সহকর্মীরা। এসময় উভয় সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। খবর পেয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী, কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় গ্লোবাস ফ্যাশন লিমিটেড নামে পোষাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার ওই কারখানায় এক নারী শ্রমিককে নির্যাতনের প্রতিবাদ করে আসছিলেন তার সহকর্মীরা। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে শ্রমিকরা। তাদের দাবিগুলো কারখানা কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পরের দিন রবিবার থেকে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। নোটিশে বলা হয়েছে, শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী, ১২ মার্চ থেকে গ্লোবাস কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই কারখানায় যান শ্রমিকরা। এসময় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তারা ওই এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন।

তাদের অবরোধের ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা পাশের মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানা ভাংচুর করে। এতে ওই মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে প্রায় আধা ঘন্টা চরম ভোগান্তিতে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে ওই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করলে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা না সড়লে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।