Dhaka ১২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে সেচ মোটরের লাইসেন্স দিয়ে দুই বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে কৃষককে হয়রানি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আল আমিন মিয়া নামে এক কৃষককে দুই বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সেচ কমিটির বিরুদ্ধে।
এছাড়াও অবৈধভাবে ৬০ ফিটের মধ্যে আর একটি সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালানো হচ্ছে। ভূক্তভোগি কৃষক উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ মৌজার মৃত শামসুল হকের ছেলে। বাধ্য হয়ে আল আমিন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আল আমিন উত্তর মরুয়াদহ মৌজায় একটি অগভীর নলকুপের জন্য উপজেলা সেচ কমিটি বরাবর আবেদন করে। যার আবেদন নং- ৮২। সিরিয়াল নং-৮৮২। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক তাকে সেচপাম্পের লাইসেন্স দেয়া হয়। যার লাইসেন্স নং- ১৬৭৫। তারিখ ৩ মার্চ ২০২২ ইং। বই নং ৯। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করলে লাইন স্থাপনসহ মিটার সংযোগ প্রদান করা হয়। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়ার ২ বছর পরও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে একই স্থানে ৬০ ফিটের মধ্যে আব্দুস সালাম নামে অপর একজনকে অবৈধভাবে আর একটি সেচ লাইসেন্স প্রদান করেন সেচ কমিটি। যাহার আবেদন নং- ৮৫। সিরিয়ার নং- ৮৯২। বহি নং- ১০। বর্তমানে আল আমিনের প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের পায়তারা চালানো হচ্ছে। কোন উপায় না পেয়ে আল আমিন সম্প্রতি আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা চলমান রয়েছে।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সুন্দরগঞ্জ জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল বারী বলেন, ‘অগভীর নলকুপ স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমে উপজেলা সেচ কমিটি প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের লাইসেন্স প্রদান করে। সেই লাইসেন্স পাওয়ার পর আবেদন করলে, আমরা নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নলকুপে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করি। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব শুধু নির্ধারিত নিয়ম ও শর্তাবলী মেনে সংযোগ নিশ্চিত করা। এর বাইরে নলকুপ অনুমোদনের বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমি যতদূর জানি তাতে এ নিয়ে অনেক মিটিং হয়েছে। এরপরও বলছি, যদি আল আমিনের সাথে অবিচার করা হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ পেলে বিষয়টি আবারও তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে ভুক্তভোগি আল-আমিন বলেন,,,বিএডিসি উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই মাত্র ২০গজের ব্যবধানে আর একটি সেচের অনুমোদন দিয়েছেন।যা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
এব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সুন্দরগঞ্জে সেচ মোটরের লাইসেন্স দিয়ে দুই বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে কৃষককে হয়রানি

Update Time : ০৮:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আল আমিন মিয়া নামে এক কৃষককে দুই বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সেচ কমিটির বিরুদ্ধে।
এছাড়াও অবৈধভাবে ৬০ ফিটের মধ্যে আর একটি সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পায়তারা চালানো হচ্ছে। ভূক্তভোগি কৃষক উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ মৌজার মৃত শামসুল হকের ছেলে। বাধ্য হয়ে আল আমিন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আল আমিন উত্তর মরুয়াদহ মৌজায় একটি অগভীর নলকুপের জন্য উপজেলা সেচ কমিটি বরাবর আবেদন করে। যার আবেদন নং- ৮২। সিরিয়াল নং-৮৮২। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক তাকে সেচপাম্পের লাইসেন্স দেয়া হয়। যার লাইসেন্স নং- ১৬৭৫। তারিখ ৩ মার্চ ২০২২ ইং। বই নং ৯। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করলে লাইন স্থাপনসহ মিটার সংযোগ প্রদান করা হয়। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়ার ২ বছর পরও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে একই স্থানে ৬০ ফিটের মধ্যে আব্দুস সালাম নামে অপর একজনকে অবৈধভাবে আর একটি সেচ লাইসেন্স প্রদান করেন সেচ কমিটি। যাহার আবেদন নং- ৮৫। সিরিয়ার নং- ৮৯২। বহি নং- ১০। বর্তমানে আল আমিনের প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের পায়তারা চালানো হচ্ছে। কোন উপায় না পেয়ে আল আমিন সম্প্রতি আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা চলমান রয়েছে।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সুন্দরগঞ্জ জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল বারী বলেন, ‘অগভীর নলকুপ স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমে উপজেলা সেচ কমিটি প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের লাইসেন্স প্রদান করে। সেই লাইসেন্স পাওয়ার পর আবেদন করলে, আমরা নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নলকুপে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করি। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব শুধু নির্ধারিত নিয়ম ও শর্তাবলী মেনে সংযোগ নিশ্চিত করা। এর বাইরে নলকুপ অনুমোদনের বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি আমি যতদূর জানি তাতে এ নিয়ে অনেক মিটিং হয়েছে। এরপরও বলছি, যদি আল আমিনের সাথে অবিচার করা হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ পেলে বিষয়টি আবারও তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে ভুক্তভোগি আল-আমিন বলেন,,,বিএডিসি উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই মাত্র ২০গজের ব্যবধানে আর একটি সেচের অনুমোদন দিয়েছেন।যা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
এব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।