Dhaka ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুঃখ গাঁথা শুনেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কক্সবাজার পৌঁছে নির্মাণাধীন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি সাইট পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিমানবন্দরে নামার পর তাকে এসব সাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। ড. ইউনূসকে সেখানকার কাজের অগ্রগতি ও সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। বিমানবন্দরটি চালু হলে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এয়ারক্রাফট এ বিমানবন্দর থেকে ওঠা-নামা করবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে।অপরদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে একই বিমানে কক্সবাজার পৌঁছানোর পর সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার নানা কর্মসূচি রয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সঙ্গে জীবনমান নিয়ে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।সাম্প্রতিক রোহিঙ্গাদের খাবার বিল কমানোসহ টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি নেতারা।কক্সবাজার শহরের প্রোগ্রাম শেষ করে বিকেলে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন। সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। এরপর রাতে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ত্যাগ করবেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছান। কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম বীর প্রতীক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার সাইফুদ্দীন শাহীনসহ অন্যান্যরা।এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব যান উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে। আর প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার শহরের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকেলে যাবেন রোহিঙ্গা ক‍্যাম্পে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুঃখ গাঁথা শুনেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

Update Time : ০৭:৪০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

কক্সবাজার পৌঁছে নির্মাণাধীন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি সাইট পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিমানবন্দরে নামার পর তাকে এসব সাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। ড. ইউনূসকে সেখানকার কাজের অগ্রগতি ও সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। বিমানবন্দরটি চালু হলে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এয়ারক্রাফট এ বিমানবন্দর থেকে ওঠা-নামা করবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে।অপরদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে একই বিমানে কক্সবাজার পৌঁছানোর পর সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার নানা কর্মসূচি রয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সঙ্গে জীবনমান নিয়ে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।সাম্প্রতিক রোহিঙ্গাদের খাবার বিল কমানোসহ টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ও কমিউনিটি নেতারা।কক্সবাজার শহরের প্রোগ্রাম শেষ করে বিকেলে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন। সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। এরপর রাতে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ত্যাগ করবেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছান। কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম বীর প্রতীক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার সাইফুদ্দীন শাহীনসহ অন্যান্যরা।এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব যান উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে। আর প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার শহরের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকেলে যাবেন রোহিঙ্গা ক‍্যাম্পে।