Dhaka ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপার

এআইটি নামক ট্যাক্স নেয়া অযৌক্তিক

সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপার এআইটি নামক বছরে পচিঁশ হাজার (২৫,০০০) টাকা ট্যাক্স নেয়া অযৌক্তিক এবং গরিব মারার ফন্দি যা সাবেক যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কালো সিস্টেম বাতিলের দাবীতে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিগত ১৫/১৬ বছরে বিআরটিএ বিভিন্ন রকমের অনৈতিক নিয়মকানুন জন্ম দিয়েছিলেন সে সময়কার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের সে সময় লোক দেখানো অভিযানের নামে প্রতারনা করেছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। এবং বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছে সংস্থাটি। মুখে বলেন যার যার কাজ সে সে করবেন কোন দালালের খপ্পরে পরবেন না অথচ সেখানে দালাল ছাড়া কোন কাজ হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য ভূক্তভুগিদের।

দালালদের একটি বিশেষ সংকেত ফাইলের মধ্যে দেয়া থাকে সেই সংকেত দেখেই বুঝতে পারেন এ ফাইাল কে পাঠিয়েছেন এবং দিন শেষে হিসাব কিতাব বুঝে নেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাগন।

এক ভূক্তভুগি বলেন, আমি আমার গাড়ীর নাম মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। দেয়ালের মধ্যে সাইনবোর্ড টানিয়ে যেভাবে নীতি বাক্য লিখা থাকে তাতে করে বোঝার উপায় নেই এখানকার কর্মকর্তাগন দুর্নীতিবাজ।

একটা কাজে গেলে দালাল দিয়ে কাজ করাতেই সারাদিন পার হয়ে যায় আর যদি দালাল ছাড়া যাই তা হলে প্রথমে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে তার পর কবে আসবেন তা নির্ধারণ করে দিবেন তার মানে দশ পনের দিনে হবে কি না সন্ধেহ।

এক ভূক্তভুগি আমিনুল ইসলাম বলেন, একটা মুরগী কয়বার জবাই হয়? একটা গাড়ি দেশে ঢুকতেই তো সকল টেক্স পরিষোদ হয় তার পর আবারো কিসের টেক্স? এতো এআইটি ২৫,০০০/= পচিঁশ হাজার আবার সাথে টেক্স ৫,০০০/= পাচঁ হাজার এটা সাবেক যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কালো সিস্টেম এখন গরিব মারার ফন্দি।

দেশে অনেক পরিবার আছেন একটা পুরাতন গাড়ি কিনে সেটার উপর নির্ভর করে তার সংসার। সারা দিনে যা আয় হয় তা থেকে ড্রাইভারের বেতন দেয়ার পরে গেরেজে গেরেজে দৌরাতেই সব শেষ। সংসারের টানা পোরেন রয়েই যায় তার উপর বাড়তি এক সাথে ৩৫ হাজার টাকা কোথা থেকে আসবে?

সাফিন আল দীন বলেন, গাড়িতে যে এআইটি নামক ট্যাক্স টা নেয় এটাই তো অযৌক্তিক। একটা গাড়ি পার্সোনাল ফ্যামেলি তে ব্যবহার হয়। তার জন্য এডভান্স ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে কেন? যে ব্যাক্তি গাড়িটি কিনেছে সে তো ট্যাক্স দিয়েই কিনেছে তার উপর সে তার ইনকামের উপর ও ট্যাক্স দিচ্ছে।

তো গাড়ির উপর কেন এড্যভান্স ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে। গাড়িটি দিয়ে তো কোন ইনকাম হয় না। যেগুলো কমার্শিয়াল কার তার উপর এআইটি ঠিক আছে কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ির উপর কেন? আবার ৫লাখ টাকার টয়োটা, মারুতি গাড়িতে ও ২৫ হাজার আবার ৮০/৯০লাখের ওডি, বিএমডব্লিউর ও ২৫হাজার এটাই বা কিভাবে যৌক্তিক ?!

আমার মতে এআইটি – পুরোটাই অযৌক্তিক । আবার একই নামে একাধিক গাড়ি থাকলে পরিবেশ কর দিতে হয়। টাকা দিলে কি পরিবেশ বিশুদ্ধ হয়ে যায়???

তবে এক গবেষণায় দেখা যায় দেশের এক শ্রেণীর লোকেরা গাড়ির বাৎসরিক রিনিউ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সেই সাথে ডেট ফেল গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেন।

সেই সাথে জরুরী ভিত্তিতে পয়ত্রিশ হাজার (৩৫,০০০) টাকার উচ্চ হারের খরচ কমিয়ে গরিব মারার নিয়মের সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশের জনগন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ব্রহ্মপুত্র নদে ‌নি‌খোঁজ জে‌লের মর‌দেহ উদ্ধার

সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপার

এআইটি নামক ট্যাক্স নেয়া অযৌক্তিক

Update Time : ০১:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপার এআইটি নামক বছরে পচিঁশ হাজার (২৫,০০০) টাকা ট্যাক্স নেয়া অযৌক্তিক এবং গরিব মারার ফন্দি যা সাবেক যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কালো সিস্টেম বাতিলের দাবীতে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিগত ১৫/১৬ বছরে বিআরটিএ বিভিন্ন রকমের অনৈতিক নিয়মকানুন জন্ম দিয়েছিলেন সে সময়কার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের সে সময় লোক দেখানো অভিযানের নামে প্রতারনা করেছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। এবং বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছে সংস্থাটি। মুখে বলেন যার যার কাজ সে সে করবেন কোন দালালের খপ্পরে পরবেন না অথচ সেখানে দালাল ছাড়া কোন কাজ হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য ভূক্তভুগিদের।

দালালদের একটি বিশেষ সংকেত ফাইলের মধ্যে দেয়া থাকে সেই সংকেত দেখেই বুঝতে পারেন এ ফাইাল কে পাঠিয়েছেন এবং দিন শেষে হিসাব কিতাব বুঝে নেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাগন।

এক ভূক্তভুগি বলেন, আমি আমার গাড়ীর নাম মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। দেয়ালের মধ্যে সাইনবোর্ড টানিয়ে যেভাবে নীতি বাক্য লিখা থাকে তাতে করে বোঝার উপায় নেই এখানকার কর্মকর্তাগন দুর্নীতিবাজ।

একটা কাজে গেলে দালাল দিয়ে কাজ করাতেই সারাদিন পার হয়ে যায় আর যদি দালাল ছাড়া যাই তা হলে প্রথমে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে তার পর কবে আসবেন তা নির্ধারণ করে দিবেন তার মানে দশ পনের দিনে হবে কি না সন্ধেহ।

এক ভূক্তভুগি আমিনুল ইসলাম বলেন, একটা মুরগী কয়বার জবাই হয়? একটা গাড়ি দেশে ঢুকতেই তো সকল টেক্স পরিষোদ হয় তার পর আবারো কিসের টেক্স? এতো এআইটি ২৫,০০০/= পচিঁশ হাজার আবার সাথে টেক্স ৫,০০০/= পাচঁ হাজার এটা সাবেক যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কালো সিস্টেম এখন গরিব মারার ফন্দি।

দেশে অনেক পরিবার আছেন একটা পুরাতন গাড়ি কিনে সেটার উপর নির্ভর করে তার সংসার। সারা দিনে যা আয় হয় তা থেকে ড্রাইভারের বেতন দেয়ার পরে গেরেজে গেরেজে দৌরাতেই সব শেষ। সংসারের টানা পোরেন রয়েই যায় তার উপর বাড়তি এক সাথে ৩৫ হাজার টাকা কোথা থেকে আসবে?

সাফিন আল দীন বলেন, গাড়িতে যে এআইটি নামক ট্যাক্স টা নেয় এটাই তো অযৌক্তিক। একটা গাড়ি পার্সোনাল ফ্যামেলি তে ব্যবহার হয়। তার জন্য এডভান্স ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে কেন? যে ব্যাক্তি গাড়িটি কিনেছে সে তো ট্যাক্স দিয়েই কিনেছে তার উপর সে তার ইনকামের উপর ও ট্যাক্স দিচ্ছে।

তো গাড়ির উপর কেন এড্যভান্স ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে। গাড়িটি দিয়ে তো কোন ইনকাম হয় না। যেগুলো কমার্শিয়াল কার তার উপর এআইটি ঠিক আছে কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ির উপর কেন? আবার ৫লাখ টাকার টয়োটা, মারুতি গাড়িতে ও ২৫ হাজার আবার ৮০/৯০লাখের ওডি, বিএমডব্লিউর ও ২৫হাজার এটাই বা কিভাবে যৌক্তিক ?!

আমার মতে এআইটি – পুরোটাই অযৌক্তিক । আবার একই নামে একাধিক গাড়ি থাকলে পরিবেশ কর দিতে হয়। টাকা দিলে কি পরিবেশ বিশুদ্ধ হয়ে যায়???

তবে এক গবেষণায় দেখা যায় দেশের এক শ্রেণীর লোকেরা গাড়ির বাৎসরিক রিনিউ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সেই সাথে ডেট ফেল গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেন।

সেই সাথে জরুরী ভিত্তিতে পয়ত্রিশ হাজার (৩৫,০০০) টাকার উচ্চ হারের খরচ কমিয়ে গরিব মারার নিয়মের সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশের জনগন।