Dhaka ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে চিকিৎসকের অপ চিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করা ভুক্তভোগির সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাটে  অর্থোপেডিক  চিকিৎসক ডা: আতাউল হকের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব বরণ করা ভুক্তভোগী এক রোগী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রোগী  জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত।

আবু হায়াত  অভিযোগে জানান,  দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের হাড়  ভেঙে গেলে তিনি  ডাক্তার আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। গত ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে জয়পুরহাট শহরের আল মদিনা নামক একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান করেন। সেই  থেকে  তিনি ডাক্তার আতাউল হকের পরামর্শ মত চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন।

আবু হায়াত আরও জানান,  “এরই এক পর্যায়ে আমার  ক্ষতস্থানে পচন ধরে  হাড় পর্যন্ত ঘা হয়। এরপর  ডাক্তার আতাউল হক  নিয়মিত চিকিৎসা দিলেও  অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।  অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক আমাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে  চিকিৎসা নিতে বলেন।  এরই মধ্যে আমার খরচ হয় আরো প্রায় দুই লাখ টাকা।  এই চিকিৎসা নিতে গিয়ে আমার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়।  এখন আমি নিঃস্ব সহায় সম্বলহীন।  এরপরও আমি পঙ্গুত্ব বরন করতে চলেছি। আমি ক্ষতি পুরুন সহ ডাক্তার আতাউল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ সময় অন্যান্যের  মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন আবু হায়াতের স্ত্রী মুক্তি বেগম, প্রতিবেশী রোম্মান হোসেন, আমজাদ হোসেন ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে

জয়পুরহাটে চিকিৎসকের অপ চিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণ করা ভুক্তভোগির সংবাদ সম্মেলন

জন দেখেছেন : ০৯:৫৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

জয়পুরহাটে  অর্থোপেডিক  চিকিৎসক ডা: আতাউল হকের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব বরণ করা ভুক্তভোগী এক রোগী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রোগী  জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত।

আবু হায়াত  অভিযোগে জানান,  দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের হাড়  ভেঙে গেলে তিনি  ডাক্তার আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। গত ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে জয়পুরহাট শহরের আল মদিনা নামক একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান করেন। সেই  থেকে  তিনি ডাক্তার আতাউল হকের পরামর্শ মত চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন।

আবু হায়াত আরও জানান,  “এরই এক পর্যায়ে আমার  ক্ষতস্থানে পচন ধরে  হাড় পর্যন্ত ঘা হয়। এরপর  ডাক্তার আতাউল হক  নিয়মিত চিকিৎসা দিলেও  অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।  অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক আমাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে  চিকিৎসা নিতে বলেন।  এরই মধ্যে আমার খরচ হয় আরো প্রায় দুই লাখ টাকা।  এই চিকিৎসা নিতে গিয়ে আমার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়।  এখন আমি নিঃস্ব সহায় সম্বলহীন।  এরপরও আমি পঙ্গুত্ব বরন করতে চলেছি। আমি ক্ষতি পুরুন সহ ডাক্তার আতাউল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ সময় অন্যান্যের  মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন আবু হায়াতের স্ত্রী মুক্তি বেগম, প্রতিবেশী রোম্মান হোসেন, আমজাদ হোসেন ।