Dhaka ০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় অজেবুন নাহারের সংবাদ সম্মেলন

ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির কাজিহাল (ডাঙ্গা) গ্রামের মোছাঃ অজেবুন নাহার তার মেয়ের ধর্ষন মামলার আসামী মোঃ ময়েজ উদ্দীন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদিকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করায় ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে মামলার বাদি মোঃ আনিছুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ অজেবুন নাহার শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত মোঃ ময়েজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে তার স্বামী আনিছুর রহমান গত ২৯/০৮/২০২৩ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সং/০৩) ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২৮।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী মোছাঃ অজেবুন নাহার অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে একজন প্রতিবন্ধী গত ২৮/০৮/২০২৩ইং তারিখে আনুমানি বেলা ১১টায় আমার মেয়ে আলিফ নুর মোঃ রেজাউল করিম এর ঘাসের জমির পাশ্বে রাস্তায় ছাগলকে ঘাস খাওয়াইতেছিল। এ সময় মোঃ ময়েজ উদ্দীন রাস্তা দিয়ে চার্জার ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার পথে চার্জার ভ্যান দাড় করে আমার মেয়ের নিকট যান। সেখানে গিয়ে তাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে মোঃ রেজাউল করিম এর ঘাসের জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।

এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করলে মোঃ ময়েজ উদ্দীন তার মুখ চেপে ধরে। ধর্ষণ শেষে আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে মোঃ ময়েজ উদ্দীন পালিয়ে যায়। মোঃ সাইফুল ইসলাম আমার মেয়েকে আহত অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে আমার বাড়িতে এসে সংবাদ দেয়। আমি সংবাদ পেয়ে ঐ দিনে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্স এর চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি।

এই ঘটনার পর আমার স্বামী মোঃ আনিছুর রহমান বাদি হয়ে কাজিহাল ইউপির কাজিহাল পশ্চিপাড়া গ্রামের মৃত্যু সাদ্দা আলীর পুত্র মোঃ ময়েজ উদ্দীনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মোঃ ময়েজ উদ্দীন উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছেন। তাই আমি নিরুপাই হয়ে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা তুলে ধরে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ব্রহ্মপুত্র নদে ‌নি‌খোঁজ জে‌লের মর‌দেহ উদ্ধার

ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় অজেবুন নাহারের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০২:৩৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির কাজিহাল (ডাঙ্গা) গ্রামের মোছাঃ অজেবুন নাহার তার মেয়ের ধর্ষন মামলার আসামী মোঃ ময়েজ উদ্দীন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদিকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করায় ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে মামলার বাদি মোঃ আনিছুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ অজেবুন নাহার শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত মোঃ ময়েজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে তার স্বামী আনিছুর রহমান গত ২৯/০৮/২০২৩ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সং/০৩) ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২৮।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী মোছাঃ অজেবুন নাহার অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে একজন প্রতিবন্ধী গত ২৮/০৮/২০২৩ইং তারিখে আনুমানি বেলা ১১টায় আমার মেয়ে আলিফ নুর মোঃ রেজাউল করিম এর ঘাসের জমির পাশ্বে রাস্তায় ছাগলকে ঘাস খাওয়াইতেছিল। এ সময় মোঃ ময়েজ উদ্দীন রাস্তা দিয়ে চার্জার ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার পথে চার্জার ভ্যান দাড় করে আমার মেয়ের নিকট যান। সেখানে গিয়ে তাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে মোঃ রেজাউল করিম এর ঘাসের জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।

এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করলে মোঃ ময়েজ উদ্দীন তার মুখ চেপে ধরে। ধর্ষণ শেষে আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে মোঃ ময়েজ উদ্দীন পালিয়ে যায়। মোঃ সাইফুল ইসলাম আমার মেয়েকে আহত অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে আমার বাড়িতে এসে সংবাদ দেয়। আমি সংবাদ পেয়ে ঐ দিনে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্স এর চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি।

এই ঘটনার পর আমার স্বামী মোঃ আনিছুর রহমান বাদি হয়ে কাজিহাল ইউপির কাজিহাল পশ্চিপাড়া গ্রামের মৃত্যু সাদ্দা আলীর পুত্র মোঃ ময়েজ উদ্দীনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মোঃ ময়েজ উদ্দীন উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছেন। তাই আমি নিরুপাই হয়ে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা তুলে ধরে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করছি।