চলতি বছরে ঘুষ বানিজ্যে পছন্দের দুই ঠিকাদারকে ৭ কোটি টাকার কন্ট্রাক দেয়ায় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক মোস্তফা জাকির হাসানকে বদলী করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সৈয়দপুর অফিসার্স ক্লাবে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেন কারখানার বিভিন্ন সপের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, সৈয়দপুর রেল কারখানায় টেন্ডারে অনিয়মের করে ডিসেন্ট নামের এক ঠিকাদারকে সারে ৪ কোটি ও সাহিন নামের অপর এক ঠিকাদারকে আড়াই কোটি টাকার কন্ট্রাক দেওয়ায় বিক্ষোভ করে কারখানার অন্যান্য ঠিকাদার ও শ্রমিক। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকার জেএডিজি মো: রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটির সদস্যরা সৈয়দপুর রেল কারখানায় তদন্তের স্বার্থে অবস্থান করেন। গোপনীয়তা রক্ষায় তদন্ত বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রেলের ওই জেষ্ট্য কর্মকর্তা। তবে বিক্ষোভকারিদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মোস্তফা জাকির হাসানকে অন্যত্র বদলী করা হয়।
বিদায়ী বিভগীয় কর্মকর্তা বদলীর পর ১৬ মার্চ সকালে ওই স্হানে যোগদান করেন মো: শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ। নতুন এ বিভাগীয় কর্মকর্তা দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর ইনচার্জদের নিয়ে সকল সপ (উপকারখানা) পরিদর্শন করেন তিনি। পরে রেলওয়ে কারখানার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনৈতীকদের সাথে মত বিনিময় করেন।
শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, ২০০১ সালে বুয়েট থেকে ইন্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ২০০৬ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান করি। দীর্ঘ ১৯ বছর দেশের বিভিন্ন অফিসে কাজ করেছি। বর্তমান সৈয়দপুর রেলকারখানায় যোগদানের পর কয়েকটি লক্ষ্য স্থির করেছি। শতবর্ষি এ কারখানার আধুনিকায়ন, সিমিত সম্পদের সর্বচ্চ ব্যাবহারের মাধ্যমে সেবা কার্য চলমান রাখা। সাথে নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধি করে পরনির্ভশীলতা কমিয়ে আনা। তিনি বলেন, রেলওয়ে কারখানার উন্নয়নে আমার দ্বারা কোন দুর্নীতি ও অনিয়ম হবে না। রেলওয়ের সব ঠিকাদারই আমার ভাই। কারখানার উন্নয়নের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই কন্ট্রাক বন্ঠন করা হবে। দেশ ও সরকারের বদনাম হয় এমন কোন কাজ তিনি করবেন না বলে জানান তিনি।