Dhaka ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনাসহ শহরের সব জায়গায় মশার উপদ্রব চরমে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত

খুলনাসহ শহরের সব জায়গায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এতে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা. পৌরসভা ও থানা এলাকায় মশার বিস্তার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই মশার কামড় ও বিরক্তিকর শব্দে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।

বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস সবখানেই মশার উৎপাত রোধে সার্বক্ষণ কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যায়, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছেন।

কতিপয় স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বছর মশা নিধনের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকলেও সিটি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন। বিগত কয়েক মাসে এলাকায় ফগার মেশিনের আওয়াজ শোনা যায়নি বলেও জানান তারা।

মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মশার কয়েল, স্প্রে কিংবা মশারি ব্যবহার করেও মশার হাত থেকে রেহাই মিলছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে এবং শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

শহরের কতিপয় ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা শহরের শেষ প্রান্তে হওয়ায়ে নাগরিক নানান সুবিধা থেকে অবহেলিত।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে, যা মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। রাস্তার মোড়ে স্থাপিত ময়লার ড্রামগুলোর পরিচ্ছন্নতা রক্ষার অভাব এবং দীর্ঘদিন ধরে মশা নিধনে কিটনাশক স্প্রে না করার কারণেই মশার প্রজনন ব্যাপক হারে বেড়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

খুলনাসহ শহরের সব জায়গায় মশার উপদ্রব চরমে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত

জন দেখেছেন : ০১:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

খুলনাসহ শহরের সব জায়গায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এতে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা. পৌরসভা ও থানা এলাকায় মশার বিস্তার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই মশার কামড় ও বিরক্তিকর শব্দে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।

বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস সবখানেই মশার উৎপাত রোধে সার্বক্ষণ কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যায়, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছেন।

কতিপয় স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বছর মশা নিধনের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকলেও সিটি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন। বিগত কয়েক মাসে এলাকায় ফগার মেশিনের আওয়াজ শোনা যায়নি বলেও জানান তারা।

মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মশার কয়েল, স্প্রে কিংবা মশারি ব্যবহার করেও মশার হাত থেকে রেহাই মিলছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে এবং শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

শহরের কতিপয় ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা শহরের শেষ প্রান্তে হওয়ায়ে নাগরিক নানান সুবিধা থেকে অবহেলিত।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে, যা মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। রাস্তার মোড়ে স্থাপিত ময়লার ড্রামগুলোর পরিচ্ছন্নতা রক্ষার অভাব এবং দীর্ঘদিন ধরে মশা নিধনে কিটনাশক স্প্রে না করার কারণেই মশার প্রজনন ব্যাপক হারে বেড়েছে।