ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী গুলোতে। দিন রাত এক করে চলছে কাপড় বুনানোর কাজ। নানা রঙ্গে ও সাজে তৈরী হচ্ছে বাহারী ধরনের শাড়ী, লুঙ্গী ও গামছা। এবারের ঈদ বাজারে ভারতীয় শাড়ীর পরিমান কম থাকায় দেশীয় শাড়ীর চাহিদা বাড়বে বলে ধারনা করছে তাত মালিকেরা। তবে শ্রমিক সংকটে প্রয়োজন মত পন্য উৎপাদন করতে পাড়ছেনা তারা। শ্রমিকেরা বলছেন সব কিছুর দাম বাড়লেও বাড়েনি মজুরী, উল্ট কমেছে। আর জেলা চেম্বর অব কমার্সের পক্ষ থেকে রং ও সুতার দাম নিয়ন্ত্রন সহ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
জানাগেছে,তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ, প্রায় প্রতিটি উপজেলায় কমবেশি তাঁত কারখানা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শাড়ী, লুঙ্গি ও গামছার কদর রয়েছে দেশ জুড়ে। জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ১৩ লাখ মানুষ। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত এখন সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। এবারের ঈদকে ঘিড়ে নানা ধরনের শাড়ী, লুঙ্গী ও গামছা তৈরী করছে তাঁত মালিকেরা। এবারের ঈদে জামদানী, তন্দু জামদানী, সুতি জামদানী গ্যাস জামদানী, সিল্ক জামদানী সহ প্রিন্ট সিল্ক শাড়ির বেশ চাহিদা বয়েছে বাজারে। বাজারে ভারতীয় শাড়ী কম থাকায় এবার ঈদে দেশীয় শাড়ীর চাহিদার সাথে সাথে উৎপাদনও বেশি হচ্ছে। গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর ব্যবসা অনেকটাই ভালো। তাঁত মালিকরা বলছেন, বাজার ভালো থাকায় এবার আশা করছি ভালো ব্যবসা হবে হবে। তবে শ্রমিক সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় উৎপাদন করতে পারছিনা।
অপরদিকে তাঁত শ্রমিকেরা বলছে, বাজারে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও আমাদের কাজের মজুরী বৃদ্ধি হয়নি। তাই কম আয় হওয়ায় দক্ষ ও নতুন তাঁত শ্রমিকরা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বাচ্চু,জানান,রং ও সুতা সহ তাঁত উপকরনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। এছাড়াও এবারেব ঈদে জেলার বিভিন্ন হাটে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলায় সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্ত:ত ৫ লাখ।