বন ধ্বংস করবো না, উপকূল নিশ্চিহ্ন করব না, বন বনানী সংরক্ষণ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন,করব বন সুরক্ষা, উপকূল হবে রক্ষা, নানা স্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিক বন দিবস দিবস পালিত হয়েছে।
বলেশ্বর নদীর তীরে রুহিতা গ্রামে উপকূলের বাসিন্দাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন ও ইউয়ুথ ফর ক্লাইমেট জাষ্টিসের আয়োজনে ‘বন সংরক্ষণে উপকূলবাসীর ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নারী পুরুষের পাশাপাশি তরুনদের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখযোগ্য।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্তনিয়া, সমাজসেবক মেহেদী শিকদার, উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, উন্নয়নকর্মী অভিজিৎ মজুমদার, সোহাগ আকন, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
সমাজসেবক মেহেদী শিকদার বলেন, আমরা বন ধ্বংস করছি, কিন্তু এর দৃশ্যমান কোন বিচার দেখতে পাচ্ছি না।
শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, দেশে বনাঞ্চল রক্ষার জন্য বন আইন রয়েছে, বনবিভাগ রয়েছে, কিন্তু তা বনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। অন্যদিকে নৌ রক্ষার জন্য নৌবাহিনী এবং নৌ পুলিশ রয়েছে এবং তাদের বিপুলসংখ্যক সদস্য রয়েছে। কিন্তু যে বনভূমি বা বনাঞ্চল আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে, আমাদের উপকূল তথা দেশ রক্ষা করে, যে বন আমাদের জীবনকে রক্ষা করে সেই বন রক্ষার জন্য বনবিভাগকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বন বা পরিবেশ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও এগুলো নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। তাই বনাঞ্চল, বনভূমি রক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তথা, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর পরিষদ সক্রিয় করতে হবে এবং বন, বণ্যপ্রাণী রক্ষার জন্য বন পুলিশ, সবুজ পুলিশ, বন বাহিনী যে নামেই হোক করা দরকার। সে বাহিনী হতে হবে বিশেষ বাহিনী যে বাহিনীতে র্যাব, নৌ, বিজিবি, সেনাসহ সব বাহিনীর সদস্য থাকবে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে আরেকটি চৌকস টিম। এ বাহিনীর নাম হতে পারে ‘সবুজ বাহিনী’ বা ‘সবুজ বিভাগ’।