মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ও রাজাপুর বাজার এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করে।
চার ঘন্টা ব্যাপী অভিযানে দই মিষ্টি, তেল,কসমেটিকস, কাপড়ের দোকান, মুরগি, ফলের দোকান, সবজি, মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়।
এসময় নহাটা বাজারে মেসার্স বাদশা মিষ্টান্ন ভান্ডার নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে দই মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্য তৈরি করতে দেখা যায়। যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকরভাবে খাবার খোলা রাখা, কর্মচারীদের নাই কোন স্বাস্থ্যবিধি, দই মিষ্টির মধ্যে পরে আছে পোকা, মশা-মাছি। অস্বাস্থ্যকরভাবে খাদ্যপণ্য তৈরি ও সংরক্ষণ করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব মো: মনিরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অপর একটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেমা বস্ত্রালয় এন্ড কসমেটিকস এ তদারকিতে অবৈধ বিদেশি পণ্য বিক্রয় করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে মালিক মো: আলমগীর কবিরকে ৪৫ ও ৫১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সবাইকে ভবিষ্যতে এধরণের আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে ০২টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে মোট ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে মুরগী, সবজি বাজার, তরমুজ, ফলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কেউ যেন রমজান মাসে অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন অফিসের কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসেন ও মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কতৃপক্ষ।