Dhaka ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জাপুরে যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত

যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে বরখাস্ত করেন।

গেল ৮ মার্চ কলেজের বর্তমান পরিচালনা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে রেজুলেশন করে অধ্যক্ষকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১০ মার্চ পত্রের মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরণ এবং কলেজ মাঠে খেলতে আসা দুই স্কুল ছাত্রীকে কলেজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত করেন কলেজ পরিচালনা কমিটি। এতে ঘটনার সত্যতার প্রমাণসহ কলেজর আর্থিক হিসাবে গড়মিল পান। নিয়মানুসারে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে পর পর তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তার জবাব দেননি। ফলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৫ আগস্টের পর অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন করলে কলেজ পরিচালনা কমিটি বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাকে কলেজে আসতে বারণ করেন। কিন্তু তিনি নিষেধ অমান্য করে মাঝে মাঝেই কলেজে এসে কাগজ পত্র এবং হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেন। তার এমন ঐদাত্য পূর্ণ কর্মকান্ডে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন পরিচালনা কমিটি। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের মতামত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পাঁচ সদস্যের এডহক কমিটির তিন জনই অবৈধ।

কাজেই এই অবৈধ কমিটির এখতিয়ার নেই আমাকে বরখাস্ত করার। কলেজের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি, সাবেক এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের পুরো বিষয়টি তদন্ত করেন সাবেক কমিটি। আমরা কেবলমাত্র সেই কমিটির সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে উনাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছি। সমস্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাদিয়া সুলতানা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মোড়লগঞ্জের তেঁতুল বাড়িয়া মৎস্য ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ

মির্জাপুরে যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত

Update Time : ০২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে বরখাস্ত করেন।

গেল ৮ মার্চ কলেজের বর্তমান পরিচালনা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে রেজুলেশন করে অধ্যক্ষকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১০ মার্চ পত্রের মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরণ এবং কলেজ মাঠে খেলতে আসা দুই স্কুল ছাত্রীকে কলেজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত করেন কলেজ পরিচালনা কমিটি। এতে ঘটনার সত্যতার প্রমাণসহ কলেজর আর্থিক হিসাবে গড়মিল পান। নিয়মানুসারে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে পর পর তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তার জবাব দেননি। ফলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৫ আগস্টের পর অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন করলে কলেজ পরিচালনা কমিটি বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাকে কলেজে আসতে বারণ করেন। কিন্তু তিনি নিষেধ অমান্য করে মাঝে মাঝেই কলেজে এসে কাগজ পত্র এবং হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেন। তার এমন ঐদাত্য পূর্ণ কর্মকান্ডে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন পরিচালনা কমিটি। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের মতামত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পাঁচ সদস্যের এডহক কমিটির তিন জনই অবৈধ।

কাজেই এই অবৈধ কমিটির এখতিয়ার নেই আমাকে বরখাস্ত করার। কলেজের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি, সাবেক এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের পুরো বিষয়টি তদন্ত করেন সাবেক কমিটি। আমরা কেবলমাত্র সেই কমিটির সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে উনাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছি। সমস্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাদিয়া সুলতানা।