Dhaka ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনে করেন সংস্কার ও নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করা হচ্ছে তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে । তিনি বলেন, বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোড লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কথা বলছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, যেটি শেষ হয়ে যায় সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। দেশের বর্তমান সংবিধান যেটিকে ইচ্ছামতো কাটাছেঁড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার প্রায় তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে ফেলেছিলো। সেই সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের ২ দফায় লেখা রয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় সংসদ গঠিত হবে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার পরও পলাতক ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, বার বার সারা বিশ্ব দেখেছে জনগণের ভোট ছাড়াই গঠন করা হয়েছিলো জাতীয় সংসদ। পলাতক স্বৈরাচার সংবিধান মানেনি।

তারেক রহমান বলেন, এই কারণে বিএনপি মনে করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কেতাবি কিংবা পুথিগত সংস্কার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে কেবল সংস্কার টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে ফ্যাসিবাদী বিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয়-সন্দেহের জন্ম দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। আমি অন্তর্র্বতী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবারও বলতে চাই, সরকারের এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লন্ঠন করা, জনগণের পকেট থেকে লুণ্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।

দীর্ঘ দেড় দশকের মাফিয়া শাসনকালে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ কেউ ভোট দিতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এসব ভোটারদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মোড়লগঞ্জের তেঁতুল বাড়িয়া মৎস্য ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ

“সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক”

Update Time : ১১:০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনে করেন সংস্কার ও নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করা হচ্ছে তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে । তিনি বলেন, বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোড লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কথা বলছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, যেটি শেষ হয়ে যায় সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। দেশের বর্তমান সংবিধান যেটিকে ইচ্ছামতো কাটাছেঁড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার প্রায় তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে ফেলেছিলো। সেই সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের ২ দফায় লেখা রয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় সংসদ গঠিত হবে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার পরও পলাতক ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, বার বার সারা বিশ্ব দেখেছে জনগণের ভোট ছাড়াই গঠন করা হয়েছিলো জাতীয় সংসদ। পলাতক স্বৈরাচার সংবিধান মানেনি।

তারেক রহমান বলেন, এই কারণে বিএনপি মনে করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কেতাবি কিংবা পুথিগত সংস্কার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে কেবল সংস্কার টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে ফ্যাসিবাদী বিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয়-সন্দেহের জন্ম দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। আমি অন্তর্র্বতী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবারও বলতে চাই, সরকারের এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লন্ঠন করা, জনগণের পকেট থেকে লুণ্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।

দীর্ঘ দেড় দশকের মাফিয়া শাসনকালে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ কেউ ভোট দিতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এসব ভোটারদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান।