Dhaka ০৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেসিসি এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নগরীতে মশার উপদ্রপ কমানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মশা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয় তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণে কেসিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিনিয়ত মশা বংশ বিস্তার করে। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আগামী ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০টি করে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হবে। একই সাথে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হবে। তবে মনে রাখা দরকার মশা নিয়ন্ত্রণ কেবল কেসিসির একার পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসকল কাজ বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হবে। দরকার হলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ নেই মজুরি নেই ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি’র) প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার আজ শনিবার ২২ মার্চ দুপুরে কেসিসি’র শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই সভার মতামত নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। নিজের বাড়ির আঙ্গিনা নিজেরাই পরিষ্কার রাখলে মশা থেকে অনেকাংশে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। যেখানেই জলাবদ্ধতা সেখানেই মশার বংশ বিস্তারের সুযোগ থাকে। তাই অপ্রয়োজনে যে কোন পাত্রে জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, কেডিএ’র সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এমএম মাহমুদুর রহমান, কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কোহিনুর জাহান, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ নিজামুল ইসলাম, কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সঠিক সময়ে মশার ঔষধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, নগরবাসীকে সচেতন করা, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত তুলে ধরেন। এছাড়াও দখল হয়ে যাওয়া ২২টি খাল উদ্ধার, ময়ুর নদ সংস্কার, দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করা, মশা নিয়ন্ত্রণে সকল ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানো, প্রয়োজনে জনবল নিয়োগ, মশা নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা-সহ বিভিন্ন মতামত সভায় উঠে আসে।
সভায় কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ, নাগরিক ফোরামের প্রতিনিধি-সহ এনজিও এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ব্রহ্মপুত্র নদে ‌নি‌খোঁজ জে‌লের মর‌দেহ উদ্ধার

কেসিসি এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৫:২০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
নগরীতে মশার উপদ্রপ কমানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মশা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয় তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিয়ন্ত্রণে কেসিসি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিনিয়ত মশা বংশ বিস্তার করে। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আগামী ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০টি করে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হবে। একই সাথে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হবে। তবে মনে রাখা দরকার মশা নিয়ন্ত্রণ কেবল কেসিসির একার পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসকল কাজ বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হবে। দরকার হলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ নেই মজুরি নেই ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি’র) প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার আজ শনিবার ২২ মার্চ দুপুরে কেসিসি’র শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসী, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই সভার মতামত নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। নিজের বাড়ির আঙ্গিনা নিজেরাই পরিষ্কার রাখলে মশা থেকে অনেকাংশে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। যেখানেই জলাবদ্ধতা সেখানেই মশার বংশ বিস্তারের সুযোগ থাকে। তাই অপ্রয়োজনে যে কোন পাত্রে জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, কেডিএ’র সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) এমএম মাহমুদুর রহমান, কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কোহিনুর জাহান, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ নিজামুল ইসলাম, কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সঠিক সময়ে মশার ঔষধ ছিটানো, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, নগরবাসীকে সচেতন করা, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীরা মতামত তুলে ধরেন। এছাড়াও দখল হয়ে যাওয়া ২২টি খাল উদ্ধার, ময়ুর নদ সংস্কার, দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ করা, মশা নিয়ন্ত্রণে সকল ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানো, প্রয়োজনে জনবল নিয়োগ, মশা নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা-সহ বিভিন্ন মতামত সভায় উঠে আসে।
সভায় কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ, নাগরিক ফোরামের প্রতিনিধি-সহ এনজিও এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।