Dhaka ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজতির প্রহারে গারদখানার পুলিশ আহত হয়েছে

খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সামনে অবস্থিত গারদখানায় দু’টি ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ এবং হাজতির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হাজতির প্রহারে ওই হাজত খানার এটিএসআই শুভংকর সাহা ওরফে শুভ (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসসাধীন দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর পরই আদালতে চত্বরের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাজতখানা থেকে আসামিরা এডিসি হুমায়ুনের পদত্যাগে শ্লোগান দিতে থাকে। তবে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডিসি কোট (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, আজ রোববার সকাল ১১ টার দিকে ওই হাজতখানার মধ্যে তিনজন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রী দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। অপরজন সোনাডাঙ্গা থানার ডাকাতি মামলার আসামি। ৪১ শিপইয়ার্ড মেইন রোড মতিয়াখালী লবণচরা এলাকার বাসিন্দা ইউনুস শেখের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম রাজ ওরফে রাজউজ্জামান রাজু ওরফে গলাকাটা রাজু তিনি মূলত এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটান।
তার নেতৃত্বে তিন আসামি প্রথমে হাজতখানার দু’টি ক্যামেরার ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পরে তা ভাংচুর করে। জানতে পেরে এটিএসআই শুভংকর ওই তিন আসামির কাছে বিষয়টি জানতে চায় । তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ৩ আসমি তাকে মারধোর করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের আঘাতে এটিএসআই’র মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই তিন আসামি শোরগোল সৃষ্টি করে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেনি। সংবাদ জেনে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরও জানান।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী এবং অতিরিক্ত পিপি হুমায়ুন কবির উজ্জল বলেন, হাজতখানার আসামিরা এডিসি প্রসিকিউশনকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করতে থাকে। এক কথায় এখানে তাদের চিৎকারে আদালত চত্বরে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। এরমধ্যে দেখা যায় আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শুভংকরকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় কিছু পুলিশ। তবে আদালত চত্বরে এ ঘটনর পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েত করা হয়েছে। তবে কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত তা তিনি পরিস্কার করে বলতে পারেননি।
এঘটনার পর আদালত পাড়ায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে। এর পর আদালতে চত্বরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজতির প্রহারে গারদখানার পুলিশ আহত হয়েছে

Update Time : ০৫:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সামনে অবস্থিত গারদখানায় দু’টি ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ এবং হাজতির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হাজতির প্রহারে ওই হাজত খানার এটিএসআই শুভংকর সাহা ওরফে শুভ (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসসাধীন দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর পরই আদালতে চত্বরের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাজতখানা থেকে আসামিরা এডিসি হুমায়ুনের পদত্যাগে শ্লোগান দিতে থাকে। তবে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডিসি কোট (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, আজ রোববার সকাল ১১ টার দিকে ওই হাজতখানার মধ্যে তিনজন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। স্ত্রী দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। অপরজন সোনাডাঙ্গা থানার ডাকাতি মামলার আসামি। ৪১ শিপইয়ার্ড মেইন রোড মতিয়াখালী লবণচরা এলাকার বাসিন্দা ইউনুস শেখের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম রাজ ওরফে রাজউজ্জামান রাজু ওরফে গলাকাটা রাজু তিনি মূলত এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটান।
তার নেতৃত্বে তিন আসামি প্রথমে হাজতখানার দু’টি ক্যামেরার ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পরে তা ভাংচুর করে। জানতে পেরে এটিএসআই শুভংকর ওই তিন আসামির কাছে বিষয়টি জানতে চায় । তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ৩ আসমি তাকে মারধোর করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের আঘাতে এটিএসআই’র মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই তিন আসামি শোরগোল সৃষ্টি করে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেনি। সংবাদ জেনে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরও জানান।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী এবং অতিরিক্ত পিপি হুমায়ুন কবির উজ্জল বলেন, হাজতখানার আসামিরা এডিসি প্রসিকিউশনকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করতে থাকে। এক কথায় এখানে তাদের চিৎকারে আদালত চত্বরে অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। এরমধ্যে দেখা যায় আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য শুভংকরকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় কিছু পুলিশ। তবে আদালত চত্বরে এ ঘটনর পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েত করা হয়েছে। তবে কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত তা তিনি পরিস্কার করে বলতে পারেননি।
এঘটনার পর আদালত পাড়ায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে। এর পর আদালতে চত্বরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করা হচ্ছে।