Dhaka ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

ভোলায় কালের সাক্ষী ৩০০ বছরের পুরনো মসজিদ

দেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলা। দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলার ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় প্রায় ৪০০ বছর আগে পলি মাটি জমে বঙ্গপসাগরের মোহনায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠে এ দ্বীপটি। চাষাবাদের জন্য এ দ্বীপে বসতি স্থাপন করে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। মুসলিম জনগোষ্ঠীর নামাজ আদায়ের জন্য প্রয়োজন হয় মসজিদ নির্মাণের। তেমনি একটি মসজিদ হচ্ছে আশ্রাফ সিকদার জামে মসজিদ। এ মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরনো। সংস্কার কাজের অভাবে মসজিদটি বর্তমানে ধ্বংসের দারপ্রান্তে। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফলেস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে। মসজিদটি সংস্কার ও সরক্ষণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ভোলা শহরের ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ণ পাড়ায় নির্মিত আশ্রাফ শিকদার জামে মসজিদ। এটি ৩০০ বছরের পুরনো মসজিদটি। যার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। মসজিদের গম্বুজ এবং মিনারগুলো মুসলিম স্থাপত্যের দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে নির্মিত। বাইরের কার্ণিশগুলোও বাদ যায়নি ক্যালিগ্রাফি থেকে। চুন-শুরকি আর পোড়া মাটি দিয়ে নির্মিত মসজিদটি এখনো দাড়িয়ে আছে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে। মোঘল আমনের নানান নকশা খচিত থাকায় অনেকের ধারনা মোঘল স্থাপত্য কলায় নির্মিত হয় মসজিদটি। বর্তমানে মসজিদটির সামনে একটি ঈদগাঁ মাঠ এবং উত্তর পার্শে নুরানী মাদরাসা রয়েছে। মসজিদটির নির্মাতা আশ্রাফ শিকদার ও তার পরিবার পরিজনের কবর রয়েছে এখানে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, ভোলা দ্বীপের বাসিন্দা আশ্রাফ আলী শিকদার আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন বরিশালের উলানিয়া জমিদার বাড়ির সাথে। সেখান থেকে জমিদারী পেয়ে ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ণ পাড়ায় বসতি স্থাপন করেন তিনি। নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ির সামনে নির্মাণ করেন এক কক্ষ ও ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। মসজিদের পাশেই খনন করেন একটি দিঘী।

মুসল্লিদের নামাজ ও গোসলের সুবিধার জন্য এবং বর্ষা মৌসূমে পানি ধরে রাখার জন্য এ দিঘী খনন করা হয়। ধারণা করা হয় প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময় পূর্বে মোঘল আমলের স্থাপত্য নকশায় নির্মিত হয় মসজিদটি। একটি বড় ও দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিতে সামনের দিকে দুই কোনে দুটি মিনার রয়েছে। মেহরারের সাথে রয়েছে ৪টি ছোট মিনার।

মসজিদের পিছনের অংশেও ৬টি মিনার রয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তর পাশে রয়েছে ৪টি করে মিনার। পিলারগুলো মিনারের আদলে তৈরী। মসজিটির ভেতরের অংশে রয়েছে ২টি আর্চ। মোঘল আমলের স্থাপত্য নকশায় নির্মিত মসজিটির রয়েছে তিনটি দরজা। দরজাগুলো আকারে ছোট। দরজার চৌকাঠ ও খিলানগুলো এখনো রয়েছে অক্ষত। মসজিদটির দক্ষিণ ও উত্তর পাশে রয়েছে ছোট ‍দুটি জানালা। এত শত বছর আগে এমন দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা কিভাবে নির্মাণ করা হলো তা নিয়ে বিষ্মিত বর্তমান প্রজন্ম।

স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, প্রায় ৩০০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটিতে মাত্র দুটি কাতারে নামাজ আদায় হয়। তৎকালীন সময়ে এলাকায় মুসল্লি সংখ্যা কম হওয়ায় এক কক্ষ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মিত হয়। সঠিকভাবে এর নির্মাণ সন জানা না গেলেও অনেকের ধারণা এর বয়স ৩০০ বছরের অধিক। বর্তমানে ‍মুসল্লি সংখ্যা বেশি হওয়ায় মূল সমজিদের বাইরের অংশে মসজিদটি বৃদ্ধি করা হয়। বাংলা ১৩৬১ সনে মসজিদটির বাইরের বর্ধিতা অংশ নির্মিত হয়। ফলে বাইরে থেকে মূল মসজিদটি ভালো ভাবে দেখা যায় না। বর্তমানে মসজিদটিতে একজন খতিব, একজন ইমাম ও একজন মুয়াজ্জিন রয়েছেন।

মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে থাকা মোঃ ওসমান গনীর বাড়ি মেহেন্দীগঞ্জ থানায়। তিনি ভোলার একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনার সুবাদে মসজিদে খেদমৎ করে আসছেন। ৩ বছরের অধিককাল যাবৎ ধরে ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেন।

ওসমান গনী বলেন, আমি এখনো শিক্ষার্থী; এ বয়সে এমন একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হতে পেরে আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি। মসজিদের ইমামের দায়িত্বে থাকা মোঃ সামসুদ্দিন বলেন, এমন একটি ঐতিহাসিক মসজিদে ইমামতী করতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি মসজিদটি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান।

মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লি মোঃ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আমি এ মসজিদে নামাজ আদায় করে আত্মতৃপ্তি পাই। মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি বিগত ৩০ বৎসরের অধিককাল যাবৎ এ মসজিদে নামাজ পড়ি, মসজিদটির সংস্কার প্রয়োজন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশ্রাফ শিকারের পরিবারের অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। তাই মসজিদটির সংস্কারের দায়িত্বও নিচ্ছে না কেউ। সংস্কার কাজের অভাবে মসজিদটি বর্তমানে ধ্বংসের দারপ্রান্তে। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফলেস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে। মসজিদটি সংস্কার ও সরক্ষণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। ১জন ইমাম, ১জন মুয়াজ্জিন এবং ১জন খতিব রয়েছেন মসজিদটিতে।

মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার ও প্রবীণ মুসল্লি মোঃ আঃ বারেক বলেন, মসজিদ পরিচালনা করতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। মসজিদের তেমন কোন আয় নেই। মুয়াজ্জিন, ইমাম ও খতিবের বেতন দিতে পারছেন না তারা। এছাড়া প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিলও দিতে হয় অনেক। তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে মসজিদ পরিচালনার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া দূর- দূরান্ত থেকে এ মসজিদটি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। ভোলার এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা ভোলাবাসীর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

ভোলায় কালের সাক্ষী ৩০০ বছরের পুরনো মসজিদ

Update Time : ০২:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

দেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলা। দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলার ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় প্রায় ৪০০ বছর আগে পলি মাটি জমে বঙ্গপসাগরের মোহনায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠে এ দ্বীপটি। চাষাবাদের জন্য এ দ্বীপে বসতি স্থাপন করে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। মুসলিম জনগোষ্ঠীর নামাজ আদায়ের জন্য প্রয়োজন হয় মসজিদ নির্মাণের। তেমনি একটি মসজিদ হচ্ছে আশ্রাফ সিকদার জামে মসজিদ। এ মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরনো। সংস্কার কাজের অভাবে মসজিদটি বর্তমানে ধ্বংসের দারপ্রান্তে। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফলেস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে। মসজিদটি সংস্কার ও সরক্ষণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ভোলা শহরের ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ণ পাড়ায় নির্মিত আশ্রাফ শিকদার জামে মসজিদ। এটি ৩০০ বছরের পুরনো মসজিদটি। যার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। মসজিদের গম্বুজ এবং মিনারগুলো মুসলিম স্থাপত্যের দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে নির্মিত। বাইরের কার্ণিশগুলোও বাদ যায়নি ক্যালিগ্রাফি থেকে। চুন-শুরকি আর পোড়া মাটি দিয়ে নির্মিত মসজিদটি এখনো দাড়িয়ে আছে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে। মোঘল আমনের নানান নকশা খচিত থাকায় অনেকের ধারনা মোঘল স্থাপত্য কলায় নির্মিত হয় মসজিদটি। বর্তমানে মসজিদটির সামনে একটি ঈদগাঁ মাঠ এবং উত্তর পার্শে নুরানী মাদরাসা রয়েছে। মসজিদটির নির্মাতা আশ্রাফ শিকদার ও তার পরিবার পরিজনের কবর রয়েছে এখানে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, ভোলা দ্বীপের বাসিন্দা আশ্রাফ আলী শিকদার আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন বরিশালের উলানিয়া জমিদার বাড়ির সাথে। সেখান থেকে জমিদারী পেয়ে ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ণ পাড়ায় বসতি স্থাপন করেন তিনি। নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ির সামনে নির্মাণ করেন এক কক্ষ ও ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। মসজিদের পাশেই খনন করেন একটি দিঘী।

মুসল্লিদের নামাজ ও গোসলের সুবিধার জন্য এবং বর্ষা মৌসূমে পানি ধরে রাখার জন্য এ দিঘী খনন করা হয়। ধারণা করা হয় প্রায় ৩০০ বছরের অধিক সময় পূর্বে মোঘল আমলের স্থাপত্য নকশায় নির্মিত হয় মসজিদটি। একটি বড় ও দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিতে সামনের দিকে দুই কোনে দুটি মিনার রয়েছে। মেহরারের সাথে রয়েছে ৪টি ছোট মিনার।

মসজিদের পিছনের অংশেও ৬টি মিনার রয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তর পাশে রয়েছে ৪টি করে মিনার। পিলারগুলো মিনারের আদলে তৈরী। মসজিটির ভেতরের অংশে রয়েছে ২টি আর্চ। মোঘল আমলের স্থাপত্য নকশায় নির্মিত মসজিটির রয়েছে তিনটি দরজা। দরজাগুলো আকারে ছোট। দরজার চৌকাঠ ও খিলানগুলো এখনো রয়েছে অক্ষত। মসজিদটির দক্ষিণ ও উত্তর পাশে রয়েছে ছোট ‍দুটি জানালা। এত শত বছর আগে এমন দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা কিভাবে নির্মাণ করা হলো তা নিয়ে বিষ্মিত বর্তমান প্রজন্ম।

স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, প্রায় ৩০০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটিতে মাত্র দুটি কাতারে নামাজ আদায় হয়। তৎকালীন সময়ে এলাকায় মুসল্লি সংখ্যা কম হওয়ায় এক কক্ষ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মিত হয়। সঠিকভাবে এর নির্মাণ সন জানা না গেলেও অনেকের ধারণা এর বয়স ৩০০ বছরের অধিক। বর্তমানে ‍মুসল্লি সংখ্যা বেশি হওয়ায় মূল সমজিদের বাইরের অংশে মসজিদটি বৃদ্ধি করা হয়। বাংলা ১৩৬১ সনে মসজিদটির বাইরের বর্ধিতা অংশ নির্মিত হয়। ফলে বাইরে থেকে মূল মসজিদটি ভালো ভাবে দেখা যায় না। বর্তমানে মসজিদটিতে একজন খতিব, একজন ইমাম ও একজন মুয়াজ্জিন রয়েছেন।

মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে থাকা মোঃ ওসমান গনীর বাড়ি মেহেন্দীগঞ্জ থানায়। তিনি ভোলার একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনার সুবাদে মসজিদে খেদমৎ করে আসছেন। ৩ বছরের অধিককাল যাবৎ ধরে ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেন।

ওসমান গনী বলেন, আমি এখনো শিক্ষার্থী; এ বয়সে এমন একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হতে পেরে আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি। মসজিদের ইমামের দায়িত্বে থাকা মোঃ সামসুদ্দিন বলেন, এমন একটি ঐতিহাসিক মসজিদে ইমামতী করতে পেরে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি মসজিদটি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান।

মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লি মোঃ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আমি এ মসজিদে নামাজ আদায় করে আত্মতৃপ্তি পাই। মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি বিগত ৩০ বৎসরের অধিককাল যাবৎ এ মসজিদে নামাজ পড়ি, মসজিদটির সংস্কার প্রয়োজন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশ্রাফ শিকারের পরিবারের অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। তাই মসজিদটির সংস্কারের দায়িত্বও নিচ্ছে না কেউ। সংস্কার কাজের অভাবে মসজিদটি বর্তমানে ধ্বংসের দারপ্রান্তে। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফলেস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে। মসজিদটি সংস্কার ও সরক্ষণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। ১জন ইমাম, ১জন মুয়াজ্জিন এবং ১জন খতিব রয়েছেন মসজিদটিতে।

মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার ও প্রবীণ মুসল্লি মোঃ আঃ বারেক বলেন, মসজিদ পরিচালনা করতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। মসজিদের তেমন কোন আয় নেই। মুয়াজ্জিন, ইমাম ও খতিবের বেতন দিতে পারছেন না তারা। এছাড়া প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিলও দিতে হয় অনেক। তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে মসজিদ পরিচালনার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া দূর- দূরান্ত থেকে এ মসজিদটি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। ভোলার এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা ভোলাবাসীর।