Dhaka ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর মামলায় সাবেক মেয়র মোস্তাক আবারও গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটের ২ মাস ২৩ দিন পর আবারও  গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (৪৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মূল গেট থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, শহরের আরাফাত নগর এলাকার মৃত হাফিজ মুন্সির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (৪৮)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ই আগস্ট-এ আওয়ামী সরকার পতনের এক দফার দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলছিল। মিছিলটি জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ পাঁচুর মোড়ে পৌঁছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ককটেল, হাতবোমা নিক্ষেপ করে মিছিলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এসময় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজজ্জামান (মিঠু) ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফার হুকুমে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলের উপর আক্রমন করে।

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের  নেতা এ এইচ এম কাউসারুজ্জামান (সাগর) ও এনামুল হক প্রভাবিত হইয়া অন্যরা পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক বন্ধুক কাড়িয়া নিয়া হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্যে মিছিলের উপর এলোপাথারী গুলি বর্ষন করতে থাকে ও হত্যার উদ্দেশ্যে স্বসস্ত্র আক্রমন চালায়। এক পর্যায়ে তাদের বন্দুুক থেকে ছোড়া গুলিতে অসংখ্য হতাহতের মাঝে গুলিবিদ্ধ হয় শিক্ষার্থী শাফি সরকার। এসময় চোখের উপরিভাগে গুলিবিদ্ধ হইয়া জ্ঞান হারাইয়া ফেলে তিনি। তৎক্ষনাত ছাত্র জনতা তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সম্পৃক্ত পেয়ে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।

মামলার বাদি ২০২৫ সালে জয়পুরহাট শহীদ জিয়া কলেজের এইচ এস সি পরিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের পাথুরিয়া গ্রামের নাছির উদ্দীনের ছেলে শাফি সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে আটক করে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আজ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় আদালত হতে অবমুক্ত করলেও তাকে ৮২ দিন পর তাকে আবারও গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক জানান, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী শাফি সরকারের দায়ের করা মামলায় জয়পুরহাটের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে গ্রেপ্তার করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

জয়পুরহাটে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর মামলায় সাবেক মেয়র মোস্তাক আবারও গ্রেপ্তার

Update Time : ১০:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

জয়পুরহাটের ২ মাস ২৩ দিন পর আবারও  গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (৪৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মূল গেট থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, শহরের আরাফাত নগর এলাকার মৃত হাফিজ মুন্সির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (৪৮)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ই আগস্ট-এ আওয়ামী সরকার পতনের এক দফার দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলছিল। মিছিলটি জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ পাঁচুর মোড়ে পৌঁছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ককটেল, হাতবোমা নিক্ষেপ করে মিছিলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। এসময় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজজ্জামান (মিঠু) ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফার হুকুমে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলের উপর আক্রমন করে।

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের  নেতা এ এইচ এম কাউসারুজ্জামান (সাগর) ও এনামুল হক প্রভাবিত হইয়া অন্যরা পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক বন্ধুক কাড়িয়া নিয়া হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্যে মিছিলের উপর এলোপাথারী গুলি বর্ষন করতে থাকে ও হত্যার উদ্দেশ্যে স্বসস্ত্র আক্রমন চালায়। এক পর্যায়ে তাদের বন্দুুক থেকে ছোড়া গুলিতে অসংখ্য হতাহতের মাঝে গুলিবিদ্ধ হয় শিক্ষার্থী শাফি সরকার। এসময় চোখের উপরিভাগে গুলিবিদ্ধ হইয়া জ্ঞান হারাইয়া ফেলে তিনি। তৎক্ষনাত ছাত্র জনতা তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সম্পৃক্ত পেয়ে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।

মামলার বাদি ২০২৫ সালে জয়পুরহাট শহীদ জিয়া কলেজের এইচ এস সি পরিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের পাথুরিয়া গ্রামের নাছির উদ্দীনের ছেলে শাফি সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে আটক করে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আজ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় আদালত হতে অবমুক্ত করলেও তাকে ৮২ দিন পর তাকে আবারও গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক জানান, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী শাফি সরকারের দায়ের করা মামলায় জয়পুরহাটের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে গ্রেপ্তার করা হয়।