পবিত্র ঈদুল ফিতর তথা মাহে রমজানের ঈদ উপলক্ষ্যে জেলায় ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেওয়া হচ্ছে। জেলার ৭১ ইউনিয়নে এবং ৪ পৌরসভায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৮১৭ পরিবারের জন্য ১৪০৮.১৭০ মে.টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪ পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের জন্য প্রদত্ত বরাদ্দ প্রায় সকল ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরন করা হয়েছে এবং তা বিতরণ চলমান রয়েছে। যদিও ১৬ মার্চের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল । নানা জটিলতায় অনেক ইউনিয়ন পরিষদে এখনো বরাদ্দপ্রাপ্ত চাল বিতরণ করতে পারেনি। অনেক ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ পাওয়া চাল খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় বরাদ্দ স্থগিত করেছে বলেও জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ১০ কেজি করে পাওয়া উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানতে বলা হয়েছে। তা হলো হতদরিদ্র পরিবার, ৫ শতাংশের নিচে যাদের জমি রয়েছে, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা, ভবঘুরেএবং স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাকে অগ্রাধিকার প্রদান।জেলার ৯ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার উপজেলা ভিত্তিক উপকারভোগির সংখ্যা এবং চাল বরাদ্দের পরিমান হলো- চকরিয়ায় ১৮ ইউনিয়নে ১৮,৩৫০ কার্ডের তথা পরিবারের জন্য ১৮৩.৫০০ মে.টন। কক্সবাজার সদরের ১০ ইউনিয়নের ৫৮৩১পরিবারের ৫৮.৩১০ টন।
ঈদগাও ৫ ইউনিয়নের ৫৮৩১ পরিবারের জন্য ৫৮.৩১০টন, কুতুবদিয়া ৬১৪৩ পরিবারের জন্য ৬১.৪৩০ মে. টন। পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের ৭৭৭৮ পরিবারের জন্য ৭৭.৭৮০ মে.ট। রামুর ১১ ইউনিয়নের ১৪৮৮৫ পরিবারের জন্য ১৪৪.৮৫০ মে. ট। টেকনাফের ১৮,১১০ পরিবারের জন্য ১৮১.১০০ মে.টন। উখিয়ার ২৭৯৮৬ পরিবারের জন্য ২৭৯.৮৮৩ মে.টন।এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার ৪৬২১ পরিবারের জন্য ৪৬.২১০ টন, চকরিয়া পৌরসভার ৪৬২১ পরিবারের জন্য ৪৬.২১০ টন, মহেশখালী পৌরসভার ৪৬২১পরিবারের জন্য ৪৬,২১০ টন এবং টেকনাফ পৌরসভার ৪৬২১ পরিবারে ৪৬. ২১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ভিজিএফ চাল বিতরণ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আবু কাউসার জানান- জেলার ৭১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ৪ পৌরসভায় চাল পৌঁছে গেছে। বেশিরভাগ এলাকায় চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ঝিলংজা ইউনিয়নে চাল বিতরণ করতে গিয়ে ৭ বস্তায় মেয়াদোত্তীর্ণ চাল পাওয়া গেছে। ফলে আমরা বিতরণ তাৎক্ষণিক বন্ধ করে নতুন বস্তা প্রেরণ করেছি। সে চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ সম্পন্ন করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি।অপরদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন চৌধুরী জানান- চাল বিতরণে কোন ধরনের অনিয়মের সংবাদ পেলে কঠোর হতে দমন করা হবে। ওজনে কম না দেয়ার জন্য ট্যাগ অফিসারদের নজরদারি বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
ঈদের আগে সদরের সব চাল বিতরণ শেষ হবে। আমরা মাঠে সদরের সব পরিষদকে নজরদারীতে রেখেছি। কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝিলংজা ইউনিয়নে চাল বিতরণ করতে মানহীন ও পোকামাকড়যুক্ত চালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বিতরণে আমি অতিথি হিসাবে থাকার কথা ছিল, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজে উপস্থিত হওয়ার কারনে যেতে পারিনি। মানহীন চাল বিতরণ বন্ধ করে নতুন ভালো চাল এনে বিতরণ করার জন্য সেই পরিষদের সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।