Dhaka ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভোলায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। শহরের বিভিন্ন বিপণীকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে ঈদের কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। পোশাকের বিভিন্ন শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় সকলের দৃষ্টি কাড়ছে। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে সাম্প্রতিককালে স্থাপিত বিভিন্ন ব্র্যান্ড কোম্পানির শো-রুমগুলোতে ক্রেতারা বেশী ঝুঁকছেন।

সদর রোডের চন্দ্রবিন্দু শো-রুমে দেখা গেছে, সেখানে বড়দের চাইতে ছোটদের পোশাক বেশী বিক্রি হচ্ছে। ওই শো-রুমে আগত ক্রেতা তাসমি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে ছোট বাবুদের কালেকশান খুবই ভালো। সবাই নতুন, আনকমন ডিজাইনের হওয়ায় তিনি বাবুর জন্য চাহিদা পোশাক সাধ্যমত মূল্যে কিনতে পেরেছেন। তহমিনা বেগম নামে অপর ক্রেতা বলেন, রাজধানী ঢাকার চাইতে ভোলা শহরের দোকানগুলোতে ছোটদের পোশাকের মূল্য তুলনামূলক কম, তাই পোষাক কিনতে এসেছি।

শহরের সেইলর শো-রুমে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। ক্রেতাদের কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে। ওই শো-রুমে বড়দের হরেকরকম পোশাকের কালেকশান সকলের নজর কাড়ছে। ফলে সেখানে টিনএজরাই বেশী আকৃষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই শো-রুম কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, নতুন শো-রুম উদ্বোধনের পর থেকেই তারা পোশাকের নিউ কালেকশানে সকল আইটেমের উপর

বিশেষ ছাড় দিয়েছেন। তাই ঈদ বেচাকেনায় তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন এবং স্বল্পমূল্য পোশাক কিনতে পেরে ক্রেতাগণও সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা মো: আবি আব্দুল্লাহ বলেন, ছেলেকে তার পছন্দের পোশাক কিনে দিলাম। মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় সন্তানের জন্য চাহিদামাফিক পোশাক কিনতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট।

শহরের কে-জাহান শপিং কমপ্লেক্সের আদি নয়ন মনি শো-রুমের মালিক মাকসুদুর রহমান জানান, এবারের ঈদের বেচাকেনা মোটামুটি ভালো, তবে চাঁদরাতসহ আগের ৩ দিন এখানে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। তিনি জানান, তার দোকানে সব বয়সীদের বাহারী ডিজাইনের পোশাকের ব্যাপক কালেকশন রয়েছে, আর মূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই। এছাড়া জেলার ৭ উপজেলার মার্কেটগুলোতেও নিত্য-নতুন ফ্যাশনের পোশাকের সমাহার ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে ওইসব এলাকার দোকানীরা।

তবে জেলা বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি মিলন মিয়া অভিযোগ করেন, রোজার মধ্যে জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পূণাকের বাণিজ্য মেলা দেয়ায় ঈদ মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এদিকে ঈদের বেচাকেনায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিছিদ্র নিরাপত্তাবলয় সৃস্টি করেছেন জেলা প্রশাসন।

ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, ঈদ উপলক্ষে ভোলাবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশের কয়েকটি চৌকস দল মাঠে তাদের টহল কার্যক্রম চালাচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেটগুলোকেও নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে

ভোলায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

জন দেখেছেন : ০২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভোলায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। শহরের বিভিন্ন বিপণীকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে ঈদের কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। পোশাকের বিভিন্ন শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় সকলের দৃষ্টি কাড়ছে। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে সাম্প্রতিককালে স্থাপিত বিভিন্ন ব্র্যান্ড কোম্পানির শো-রুমগুলোতে ক্রেতারা বেশী ঝুঁকছেন।

সদর রোডের চন্দ্রবিন্দু শো-রুমে দেখা গেছে, সেখানে বড়দের চাইতে ছোটদের পোশাক বেশী বিক্রি হচ্ছে। ওই শো-রুমে আগত ক্রেতা তাসমি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে ছোট বাবুদের কালেকশান খুবই ভালো। সবাই নতুন, আনকমন ডিজাইনের হওয়ায় তিনি বাবুর জন্য চাহিদা পোশাক সাধ্যমত মূল্যে কিনতে পেরেছেন। তহমিনা বেগম নামে অপর ক্রেতা বলেন, রাজধানী ঢাকার চাইতে ভোলা শহরের দোকানগুলোতে ছোটদের পোশাকের মূল্য তুলনামূলক কম, তাই পোষাক কিনতে এসেছি।

শহরের সেইলর শো-রুমে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। ক্রেতাদের কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে। ওই শো-রুমে বড়দের হরেকরকম পোশাকের কালেকশান সকলের নজর কাড়ছে। ফলে সেখানে টিনএজরাই বেশী আকৃষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই শো-রুম কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, নতুন শো-রুম উদ্বোধনের পর থেকেই তারা পোশাকের নিউ কালেকশানে সকল আইটেমের উপর

বিশেষ ছাড় দিয়েছেন। তাই ঈদ বেচাকেনায় তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন এবং স্বল্পমূল্য পোশাক কিনতে পেরে ক্রেতাগণও সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা মো: আবি আব্দুল্লাহ বলেন, ছেলেকে তার পছন্দের পোশাক কিনে দিলাম। মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় সন্তানের জন্য চাহিদামাফিক পোশাক কিনতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট।

শহরের কে-জাহান শপিং কমপ্লেক্সের আদি নয়ন মনি শো-রুমের মালিক মাকসুদুর রহমান জানান, এবারের ঈদের বেচাকেনা মোটামুটি ভালো, তবে চাঁদরাতসহ আগের ৩ দিন এখানে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। তিনি জানান, তার দোকানে সব বয়সীদের বাহারী ডিজাইনের পোশাকের ব্যাপক কালেকশন রয়েছে, আর মূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই। এছাড়া জেলার ৭ উপজেলার মার্কেটগুলোতেও নিত্য-নতুন ফ্যাশনের পোশাকের সমাহার ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে ওইসব এলাকার দোকানীরা।

তবে জেলা বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি মিলন মিয়া অভিযোগ করেন, রোজার মধ্যে জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পূণাকের বাণিজ্য মেলা দেয়ায় ঈদ মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এদিকে ঈদের বেচাকেনায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিছিদ্র নিরাপত্তাবলয় সৃস্টি করেছেন জেলা প্রশাসন।

ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, ঈদ উপলক্ষে ভোলাবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশের কয়েকটি চৌকস দল মাঠে তাদের টহল কার্যক্রম চালাচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেটগুলোকেও নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা হয়েছে।