Dhaka ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয় এবং সকল সরকারি, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

একই সময় বিজয় সৌধে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এরপর পুলিশ সুপার  মোঃ ফারুক  হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সিভিল সার্জন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা,  র‍‍্যাব১২,পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, আনসার-ভিডিপি, জেলা কারসগার,পৌরসভা,উপজেলা প্রশাসন,প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল,কলেজ, এনজিও প্রতিনিধি সহ সমাজের নানান শ্রেণী পেশার মানুষেরা মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল নয়টায় শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন,২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জন্য এক অবিস্মরনীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে মাধ্যমে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্আভৌম রাষ্ট্রের। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল বীর শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা।  তিনি জুলাই ২৪ ছাত্র গণআন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

দিবসটিতে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার,পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র,ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র সমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেসন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

Update Time : ০৫:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয় এবং সকল সরকারি, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

একই সময় বিজয় সৌধে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এরপর পুলিশ সুপার  মোঃ ফারুক  হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সিভিল সার্জন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা,  র‍‍্যাব১২,পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, আনসার-ভিডিপি, জেলা কারসগার,পৌরসভা,উপজেলা প্রশাসন,প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল,কলেজ, এনজিও প্রতিনিধি সহ সমাজের নানান শ্রেণী পেশার মানুষেরা মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল নয়টায় শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন,২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জন্য এক অবিস্মরনীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে মাধ্যমে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্আভৌম রাষ্ট্রের। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল বীর শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা।  তিনি জুলাই ২৪ ছাত্র গণআন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

দিবসটিতে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার,পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র,ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র সমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশ করা হয়।