Dhaka ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলাচিপায় টল ঘরের তিনটি দোকান ও একটি বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার টল ঘরের মুদি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুজাফফর খন্দকার ও রবি পালের মুদি ও মনোহরি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনে মোজাফফর খন্দকারের মালামাল বোঝাই গুদামও ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় শাহআলী প্যাদার মুদি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানিতে আরও তিনটি দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে।
মুজাফফর খন্দকারের ভাগিনা মনির ও ছেলে আতিকুর রহমান বলেন, ভোররাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত দোকানে ছুটে আসি। এসে দেখি সব পুড়ে যাচ্ছে, কোনো মালামালই বের করতে পারেনি। ঈদ উপলক্ষে দোকান ও গুদামে প্রচুর মালামাল ছিল, এটি ছিল আমাদের পরিবারের বাঁচার শেষ সম্বল। এই ব্যবসা দিয়েই আমাদের সংসার চলত। এতে আমাদের অনেক বড ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব কিনা তা আল্লাহ পাক জানেন।

এসময় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চোখের সামনে দোকান পুড়তে দেখে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মুজাফফর খন্দকার ও তার স্ত্রী কোহিনূর বেগম। পরে তাদেরকে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক রবি পাল জানান, ভোররাতে খবর পেয়ে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুন লেগেছে শুনেছি।

এদিকে, একই রাতে উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বাসুদেব দাসের বাড়ি পুড়ে গেছে। রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে বসতঘরের আসবাবপত্র, পোশাক ও মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে যায়। এতে প্রায় বিশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তিনটি গরু আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। গোয়াল ঘরে জ¦ালিয়ে রাখা মশার কয়াল থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন গোয়াল ঘর থেকে বসতঘরে ছড়িয়ে পডে।

গলাচিপা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন সাব অফিসার মো. কামাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলাচিপা পৌরশহরের মুদি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেসন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

গলাচিপায় টল ঘরের তিনটি দোকান ও একটি বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

Update Time : ০৮:০১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার টল ঘরের মুদি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুজাফফর খন্দকার ও রবি পালের মুদি ও মনোহরি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনে মোজাফফর খন্দকারের মালামাল বোঝাই গুদামও ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় শাহআলী প্যাদার মুদি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানিতে আরও তিনটি দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে।
মুজাফফর খন্দকারের ভাগিনা মনির ও ছেলে আতিকুর রহমান বলেন, ভোররাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত দোকানে ছুটে আসি। এসে দেখি সব পুড়ে যাচ্ছে, কোনো মালামালই বের করতে পারেনি। ঈদ উপলক্ষে দোকান ও গুদামে প্রচুর মালামাল ছিল, এটি ছিল আমাদের পরিবারের বাঁচার শেষ সম্বল। এই ব্যবসা দিয়েই আমাদের সংসার চলত। এতে আমাদের অনেক বড ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব কিনা তা আল্লাহ পাক জানেন।

এসময় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চোখের সামনে দোকান পুড়তে দেখে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মুজাফফর খন্দকার ও তার স্ত্রী কোহিনূর বেগম। পরে তাদেরকে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক রবি পাল জানান, ভোররাতে খবর পেয়ে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুন লেগেছে শুনেছি।

এদিকে, একই রাতে উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বাসুদেব দাসের বাড়ি পুড়ে গেছে। রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে বসতঘরের আসবাবপত্র, পোশাক ও মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে যায়। এতে প্রায় বিশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তিনটি গরু আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। গোয়াল ঘরে জ¦ালিয়ে রাখা মশার কয়াল থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন গোয়াল ঘর থেকে বসতঘরে ছড়িয়ে পডে।

গলাচিপা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন সাব অফিসার মো. কামাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলাচিপা পৌরশহরের মুদি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।