Dhaka ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতন-বোনাসের দাবিতে সিরাজগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার

বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবীতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল’ কারখানার শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে
সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল
স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার
ভুইয়াগাঁতী এলাকার আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল’ কারখানার সামনে
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের এই কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা।

বগুড়া সেনানিবাসের ১১ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন
কবির বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ঈদে
ঘরমুখো মানুষ যেন দুর্ভোগে না পড়ে এজন্য সকল চেষ্টা করে যাচ্ছে।

শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত এর
নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সেনাবাহিনী মিল মালিক ও
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মালিক পক্ষ বেতন পরিশোধ করবে বলে সেনাবাহিনীকে
আশ্বাস্ত করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করা হয়। শ্রমিকরা
আশ্বস্ত হয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যায়। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ্য ভাবে সমস্যা
সমাধান করা হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান,
আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিলের শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে
মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিল। এরপর হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে
শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিক ফজলুল হক বলেন, চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দেওয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা অবরোধ থেকে সরে এসেছি।

আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল
মান্নান জানান, কারখানায় প্রায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। এদের কারও
বেতন বকেয়া নেই। কিন্তু চলতি মাসের বেতন না দেয়ায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ
করেছিল। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা
তাদের বেতন পরিশোধের চেষ্টা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

বেতন-বোনাসের দাবিতে সিরাজগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার

জন দেখেছেন : ০৯:৩১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবীতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল’ কারখানার শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে
সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল
স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার
ভুইয়াগাঁতী এলাকার আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল’ কারখানার সামনে
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের এই কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা।

বগুড়া সেনানিবাসের ১১ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন
কবির বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ঈদে
ঘরমুখো মানুষ যেন দুর্ভোগে না পড়ে এজন্য সকল চেষ্টা করে যাচ্ছে।

শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত এর
নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সেনাবাহিনী মিল মালিক ও
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মালিক পক্ষ বেতন পরিশোধ করবে বলে সেনাবাহিনীকে
আশ্বাস্ত করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করা হয়। শ্রমিকরা
আশ্বস্ত হয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যায়। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ্য ভাবে সমস্যা
সমাধান করা হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান,
আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিলের শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে
মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিল। এরপর হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে
শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিক ফজলুল হক বলেন, চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দেওয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা অবরোধ থেকে সরে এসেছি।

আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল
মান্নান জানান, কারখানায় প্রায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। এদের কারও
বেতন বকেয়া নেই। কিন্তু চলতি মাসের বেতন না দেয়ায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ
করেছিল। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা
তাদের বেতন পরিশোধের চেষ্টা করছি।