কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি পৌরসোভাসহ ১৩ ইউনিয়নের সিংহভাগ ইউনিয়নেই ভিজিএফ এর চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই ব্যক্তিকে একাধিক স্লিপ নিয়ে বিশ থেকে ত্রিশ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ ঘটনায় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার ধরনিবাড়ি ইউনিয়নে অনিমের খবর করতে গিয়ে এশিয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি লাঞ্চিত হয়েছে।বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদে একই ব্যক্তিকে ২০ থেকে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করেছি বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থায়নে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ ও অতি দরিদ্র, অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় খাদ্যশস্য প্রদানের লক্ষ্যে উলিপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিপরীতে ৮৬ হাজার ৯৬ জন উপকারভোগীর জন্য ৮৬ হাজার ৯শ ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া যায়।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিজন উপকারভোগী ১০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। চাল বিতরণের সময় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মনোনীত ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকবেন। অথচ তিনজন মিলে এক বস্ত করে চাল দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। কার্ড বন্টনে একাধিক রাজনৈতিক কোটা রাখা হয়েছে বলে জন্যশ্রুতি রয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নামে ভাগাভাগি করা হয়েছে ভিজিএফের চাল।
একাধিক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলেক্ষ গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ এর ৬ হাজার ৭শত ১২ জন ব্যক্তি ১০ কেজি করে চাল বিতরনের বরাদ্দ দেয়া হয়। শুক্রবার ও শনিবার এই চাল বিতরন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও একই ব্যক্তির কাছে তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ কারনে এলাকাবাসীর কাছে সুষ্ঠভাবে চাল বিতরন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গুনাইগাছ ইউনিয়নে গেলে এলাকাবাসী শাহজাহান সিরাজসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এক ব্যক্তির কাছে তিনটি আইডি কার্ডের কপি নিয়ে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত দরিদ্র মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে আমরা ইউপি সচিবের কাছে অভিযোগ করলে তিনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহেদুল ইসলাম জানান, তিনজনের কাছে তিনটি ফটোকপি নিয়ে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আনিছার রহমান বলেন, দ্রুত বিতরন শেষ করতে তিনটি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি একজনের কাছে নিয়ে চাল দেয়া হয়। এছাড়া উপকারভোগীদের তালিকা পূর্ব থেকেই করা রয়েছে। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। একই রকম অনিমের খবর উপজেলার সিংহভাগ ইউনিয়ন পরিষদেই ঘটেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেনি।