খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতির আরামবাগ এলাকায় পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সাথে গোলাগুলি হয়। এসময় ৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ জন নৌবাহিনী সদস্য এবং ২ সন্ত্রাসী বাহিনী আহত হয়।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১১ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক। পাঁচটি আগ্নে অস্ত্র, দেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে জানা যায়, গোপন সূত্রের মাধ্যমে আরামবাগ মসজিদের অপরপাশে একটি বিল্ডিংয়ে কালা লাভলু সন্ত্রাসী বাহিনীরা গোপন বৈঠক করছে। এ খবর পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে ধরতে গেলে অপর পাশ হতে পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। কালা লাভলুর সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশ সদস্যের আহত হয়।
পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এক পর্যায়ের দুই পক্ষের গোলাগুলি চলাকালে ৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১ জন নৌবাহিনী সদস্য এবং ২ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনা স্থল হতে কেএমপির পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ ১১গ্রেফতার করা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পলাশ বাহিনীর প্রধান নগরীর মিন্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল হান্না শেখের পুত্র শেখ পলাশ, ডালমিল রোড এলাকার সাত্তার মিয়ার পুত্র রুবেল /কালা লাভলু, বানরগাতি এলাকার আব্দুর রহমান গাজীর পুত্র সৈকত রহমান, একই এলাকার আশরাফ আলী সরদারের পুত্র মহিদুল ইসলাম, মোঃ রমিজুল হাওলাদারের পুত্র গোলাম রব্বানী, বটিয়াঘাটা সুরখালি এলাকার মোঃ আহমদ খা এর পুত্র মোঃ আরিফুল, মুসলমানপাড়া এলাকার মৃত শরীফ মোঃ আলমগীর হোসেন এর পুত্র মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ, বাগমারা মেইন রোড এলাকার মাসুদ আলম জয়নালের পুত্র ইমরানুজ্জামান, নিরালা এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেন এর পুত্র ইমরান, পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার রাজ্জাক এর পুত্র রিপন ও রূপসা বাগমারা এলাকার ইজাজ শেখের পুত্র ফজলে রাব্বি রাজন।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র হলো তিনটি পিস্তল, একনলা শর্টগান একটি, একটি কাটা বন্দুক, চাইনিজ কুড়াল একটি ও একটি চাপাতিসহ কয়েকরাউন্ড গুলি। এছাড়াও সাতটি মটরসাইকেল জব্দ করেছে।