Dhaka ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রীকে বিয়ে করা নওগাঁর সেই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

ছাত্রীকে বিয়ে করা সেই প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণ দাবিতে ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। শনিবার(২৯ মাার্চ) বেলা ১২টার দিকে জেলার মান্দা থানার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শামীম হোসেন সাজু, আল মামুন, মোস্তাকিম সরদার, বাবুল হোসেন বাবু, গোলাম মোর্শেদ, সোহেল সরদার, রিসালাত সাজিদ, রশিদা বেগম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্রী দোলা আক্তারের (১৬) সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রেমের গুঞ্জন ছিল। গত দেড় বছর আগে একাধিক বার তার সাথে শারিরীক সম্পর্কের কারণে ভিকটিম দোলা তখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি সাংবাদিকরা জেনে দোতলার পরিবারে গেলে,তখন নানা শংকা ও ভয়ে সাংবাদিকদের কাছে পরিবারের সবাই চেপে যান। ফলে অনেক সাংবাদিক তখন খবর প্রকাশ করেনি।তবে কিছু অনলাইন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লগি-বইঠা বাহিনীর হাসিনা সরকারের পতনের পরে গরিব দোলার পরিবার গত মঙ্গলবার শিক্ষক আকরাম হোসেনের বাড়িতে তুলে দেয়। বাধ্য হয়ে চাকুরি বাঁচাতে  বুধবার ছাত্রী দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে তিনি সংসার শুরু করেন।  একই প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রী দোলা আক্তার এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী রিনা আক্তার পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে আলোচনা জন্ম দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন।

শামীম হোসেন সাজু বলেন, প্রধান শিক্ষক আকরামের তৃতীয় স্ত্রী দোলা আক্তার তার দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলের বান্ধবীর মেয়ে। সেই মেয়েতুল্য ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। এ ধরণের চরিত্রহীন লুইচ্চা মার্কা  প্রধান শিক্ষকের অবিলম্বে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।

এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বান্ধবীর মেয়েকে বিয়ে করায় ক্ষোভ ও লজ্জায় প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তার পুতুল স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করা বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, ছাত্রী দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। তাকে অনেক আগেই বিয়ে করতাম। কিস্তু বয়স সমস্যার কারণে করিনি। আমি একাধিক বিয়ে করতেই পারি। এখানে কারো কিছুই আসে যায় না।

এ  বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে

ছাত্রীকে বিয়ে করা নওগাঁর সেই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

জন দেখেছেন : ০৯:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

ছাত্রীকে বিয়ে করা সেই প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণ দাবিতে ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। শনিবার(২৯ মাার্চ) বেলা ১২টার দিকে জেলার মান্দা থানার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শামীম হোসেন সাজু, আল মামুন, মোস্তাকিম সরদার, বাবুল হোসেন বাবু, গোলাম মোর্শেদ, সোহেল সরদার, রিসালাত সাজিদ, রশিদা বেগম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্রী দোলা আক্তারের (১৬) সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রেমের গুঞ্জন ছিল। গত দেড় বছর আগে একাধিক বার তার সাথে শারিরীক সম্পর্কের কারণে ভিকটিম দোলা তখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি সাংবাদিকরা জেনে দোতলার পরিবারে গেলে,তখন নানা শংকা ও ভয়ে সাংবাদিকদের কাছে পরিবারের সবাই চেপে যান। ফলে অনেক সাংবাদিক তখন খবর প্রকাশ করেনি।তবে কিছু অনলাইন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লগি-বইঠা বাহিনীর হাসিনা সরকারের পতনের পরে গরিব দোলার পরিবার গত মঙ্গলবার শিক্ষক আকরাম হোসেনের বাড়িতে তুলে দেয়। বাধ্য হয়ে চাকুরি বাঁচাতে  বুধবার ছাত্রী দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে তিনি সংসার শুরু করেন।  একই প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রী দোলা আক্তার এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী রিনা আক্তার পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে আলোচনা জন্ম দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন।

শামীম হোসেন সাজু বলেন, প্রধান শিক্ষক আকরামের তৃতীয় স্ত্রী দোলা আক্তার তার দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলের বান্ধবীর মেয়ে। সেই মেয়েতুল্য ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। এ ধরণের চরিত্রহীন লুইচ্চা মার্কা  প্রধান শিক্ষকের অবিলম্বে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।

এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বান্ধবীর মেয়েকে বিয়ে করায় ক্ষোভ ও লজ্জায় প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তার পুতুল স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করা বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, ছাত্রী দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। তাকে অনেক আগেই বিয়ে করতাম। কিস্তু বয়স সমস্যার কারণে করিনি। আমি একাধিক বিয়ে করতেই পারি। এখানে কারো কিছুই আসে যায় না।

এ  বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াা হবে।