দক্ষিণ-পূূর্ব এশিয়ার আট দেশে গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমার। প্রাথমিক খবরে দেশটিতে প্রায় ৭০০ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছিল। মিয়ানমার ছাড়াও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন।
শত শত লোক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশ দুটিতে হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশেষত মিয়ানমার থেকে পরিষ্কার জানা যায়নি। কেননা, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে ও সেখান থেকে তথ্য পাওয়া কঠিন। তবে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে হাজারের অধিক মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি হাজারো ঘরবাড়ি ধসে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গতকালও মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ছয়টি পরাঘাত (আপটার শক) হয়েছে। বিবিসি ও এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটার শক) হয়। ইউএসজিএসের অনুমান, মিয়ানমারে নিহতের
সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্বে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোর একটি মিয়ানমার। দেশটিতে বিভিন্ন সময় ভূমিকম্পে জনবহুল এলাকাগুলো কেঁপে উঠলেও শুক্রবার শহরগুলো যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, তা আগে দেখা যায়নি।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ‘হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’ গতকাল শনিবার সরকারি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। এর আগে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে দেশটিতে অন্তত ১১৪ জন নিহত ও ৭৩০ জন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন জান্তাপ্রধান।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে থাইল্যান্ডে। দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।