নওগাঁর মান্দায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) গাড়ির চালকসহ ৪ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত যুবকেরা হলেন, উপজেলার ছোটবেলালদহ গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম সুইট (২৯), বিজয়পুর প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে নাসির উদ্দিন স্বাধীন(২৯)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন স্বাধীন মাষ্টাররোলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) গাড়ি চালানোর কাজ করতেন।
মামলার এহাজার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী একজন পিকআপের চালক। তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে এ দম্পত্তির একমাত্র কন্যা সন্তানকে ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। রাতে পিকআপের ভাড়ার কাজের জন্য স্বামী বাইরে চলে যাওয়ায় বাড়িতে একাকী ছিলেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘গতকাল রোরবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমার স্বামী পিকআপের ভাড়ার কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে আমি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি স্বাধীন বাসায় এসে স্বামীকে ডাকাডাকি করে। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি দরজা খুলে দেই। সাথে সাথে ৬-৭জন যুবক জোরপূছবকভাবে শয়ন কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ৪জনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনুসর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩জনের নামে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) নেওয়া হয়েছে।