Dhaka ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরামপুরে জামাই শ্বাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌর শহরে শ্বাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কুলঙ্গার জামাই। মূমুর্ষ অবস্থায় অগ্নি দগ্ধ শ্বাশুড়িকে রংপুর মেডিকেল ও হাসাপাতালে নেওয়া হয়েছে। কুলঙ্গার জামাইকে ধরার জন্য মাঠে নেমেছে থানা পুলিশ।

বুধবার  (০২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরে পূর্বপাড়া মহল্লায় এই লোমহর্ষক মর্মান্তিক অগ্নি দগ্ধের ঘটনা ঘটে।

কুলঙ্গার জামাই মেহেদুল ইসলাম বিরামপুর উপজেলা হাবিবপুর গ্রামের গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে এবং অগ্নি দদ্ধ শ্বাশুড়ি বুলি বেগম (৫৫) বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেনের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেন ও বুলি বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী বেগমের সাথে উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। জামাই মেহেদুল তার স্ত্রীর এক ভাইয়ের অটোরিক্সা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সম্প্রতি সেই অটোরিক্সা ভেঙ্গে ফেলে শ্বশুর বাড়িতে দিয়ে যায়। অটোরিক্সার মালিক রিক্সা মেরামত করে অন্য চালকের নিকট ভাড়া দিলে জামাই মেহেদুল শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

ঘটনার দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জামাই মেহেদুল তার শ্বাশুড়িকে মোবাইল ফোনে বাড়ির বাইরে পাকা রাস্তার উপর ডেকে নিয়ে শ্বাশুড়ি বুলী বেগমের (৫৫) গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে বুলী বেগমের সর্বাঙ্গ আগুনে ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউর রহমান অগ্নি দগ্ধ শ্বাশুড়ি বুলী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। স্বজনরা দগ্ধ বুলী বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও  হাসপাতালে নিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই ঘাতক জামাই মেহেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বিরামপুর পৌরসভার  কাউন্সিলর আঙ্গুরা বেগম জানান, আগুনে বুলী বেগমের মাথা ও মুখমন্ডল ব্যতিত সর্ব শরীর ঝলসে গেছে। তিনি লোমহর্ষক মর্মান্তিক ঘটনার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, অগ্নি দগ্ধ বুলী বেগম রংপুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

বিরামপুরে জামাই শ্বাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে

জন দেখেছেন : ০৭:৪০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌর শহরে শ্বাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কুলঙ্গার জামাই। মূমুর্ষ অবস্থায় অগ্নি দগ্ধ শ্বাশুড়িকে রংপুর মেডিকেল ও হাসাপাতালে নেওয়া হয়েছে। কুলঙ্গার জামাইকে ধরার জন্য মাঠে নেমেছে থানা পুলিশ।

বুধবার  (০২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরে পূর্বপাড়া মহল্লায় এই লোমহর্ষক মর্মান্তিক অগ্নি দগ্ধের ঘটনা ঘটে।

কুলঙ্গার জামাই মেহেদুল ইসলাম বিরামপুর উপজেলা হাবিবপুর গ্রামের গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে এবং অগ্নি দদ্ধ শ্বাশুড়ি বুলি বেগম (৫৫) বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেনের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেন ও বুলি বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী বেগমের সাথে উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। জামাই মেহেদুল তার স্ত্রীর এক ভাইয়ের অটোরিক্সা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সম্প্রতি সেই অটোরিক্সা ভেঙ্গে ফেলে শ্বশুর বাড়িতে দিয়ে যায়। অটোরিক্সার মালিক রিক্সা মেরামত করে অন্য চালকের নিকট ভাড়া দিলে জামাই মেহেদুল শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

ঘটনার দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জামাই মেহেদুল তার শ্বাশুড়িকে মোবাইল ফোনে বাড়ির বাইরে পাকা রাস্তার উপর ডেকে নিয়ে শ্বাশুড়ি বুলী বেগমের (৫৫) গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে বুলী বেগমের সর্বাঙ্গ আগুনে ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউর রহমান অগ্নি দগ্ধ শ্বাশুড়ি বুলী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। স্বজনরা দগ্ধ বুলী বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও  হাসপাতালে নিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই ঘাতক জামাই মেহেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বিরামপুর পৌরসভার  কাউন্সিলর আঙ্গুরা বেগম জানান, আগুনে বুলী বেগমের মাথা ও মুখমন্ডল ব্যতিত সর্ব শরীর ঝলসে গেছে। তিনি লোমহর্ষক মর্মান্তিক ঘটনার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, অগ্নি দগ্ধ বুলী বেগম রংপুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।