Dhaka ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ঈদে মেঘনার পাড়ে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়

দেশজুড়ে বইছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আমেজ। এই ঈদ আনন্দ মাতোয়ারা মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। ঈদের আনন্দ আরো রাঙিয়ে তুলতে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন পর্যটন ও মেঘনা নদীর পাড়ে।

ভোলায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি মেঘনা নদীর তীরে ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। ঈদের তৃতীয় দিনেও দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে সদর উপজেলার শিবপুর শান্তির হাট এলাকার ভোলার খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীর। দুপুর থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এখানে থাকে দর্শনার্থীদের সমাগম। এখানে কেউ স্ত্রী-সন্তান, কেউ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে নদীর শীতল হাওয়ায় মন জুড়াতে এবং নদীর ঢেউ উপভোগ করতে ছুটছেন মেঘনা নদীর পাড়ে। আবার কেউ কেউ সেখানে গিয়ে ট্রলার ভাড়া করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মেঘনার বুকে। এসব দর্শনার্থীদেরকে ঘিরে মেঘনা পাড়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন দোকান। এই দোকানগুলোতেও বেচাকেনা জমজমাট। সন্তোষজনক বিক্রিতে খুশি দোকানিরাও।

মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া এমনই এক দর্শনার্থী মো: ইকবাল জানান, আমি ঢাকার চাকুরী  করি, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। ঈদে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি। নদীর মনোরম পরিবেশে এখানে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে এই মেঘনা পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন করা হলে আরও ভালো লাগবে।

হাসনাহেনা নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, ঈদের দিন বাড়িতেই ছিলাম। আজ কয়েকজন বান্ধবী মিলে নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি। নদীর পাড়ের শীতল বাতাস ও ঢেউ দেখে ভালোই লেগেছে। এমন মনোরম পরিবেশে এসে নিজেদের কাছে অনেকটা প্রশান্তি মিলেছে।

শান্ত নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ঈদের ছুটি চলছে। তাই অবসর সময় কাটাতে বন্ধুদের নিয়ে এই নদীর পাড়ে এসেছি। আমাদের মতো এখানে অনেকেই পরিবার-পরিজনদের নিয়ে এই মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছেন।

রাবেয়া নামের অপর দর্শনার্থী বলেন, ঈদ মানে আনন্দ। বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে তেমন একটা ঘোড়া হয় না, তাই ঈদের ছুটিতে সন্তানদেরকে নিয়ে একটু প্রশান্তির জন্য মেঘনা নদীর বারে ঘুরতে এসেছি। নির্মল বাতাস আর নদীর ঢেউয়ে একটা অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে খুব ভালোই লাগছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ জানান, ঈদের শুরু থেকেই আমাদের পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। মানুষজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকে দর্শনার্থী বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছেন। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সেসব দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেল করতে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কে সিসির উদ্যোগে মৃত মুসলিম মানুষের গোসলের জন্য স্থয়ীভাবে আধুনিক স্থান নির্ধারণ

ভোলায় ঈদে মেঘনার পাড়ে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়

Update Time : ০৮:০৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

দেশজুড়ে বইছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আমেজ। এই ঈদ আনন্দ মাতোয়ারা মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। ঈদের আনন্দ আরো রাঙিয়ে তুলতে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন পর্যটন ও মেঘনা নদীর পাড়ে।

ভোলায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি মেঘনা নদীর তীরে ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। ঈদের তৃতীয় দিনেও দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে সদর উপজেলার শিবপুর শান্তির হাট এলাকার ভোলার খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীর। দুপুর থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এখানে থাকে দর্শনার্থীদের সমাগম। এখানে কেউ স্ত্রী-সন্তান, কেউ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে নদীর শীতল হাওয়ায় মন জুড়াতে এবং নদীর ঢেউ উপভোগ করতে ছুটছেন মেঘনা নদীর পাড়ে। আবার কেউ কেউ সেখানে গিয়ে ট্রলার ভাড়া করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মেঘনার বুকে। এসব দর্শনার্থীদেরকে ঘিরে মেঘনা পাড়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন দোকান। এই দোকানগুলোতেও বেচাকেনা জমজমাট। সন্তোষজনক বিক্রিতে খুশি দোকানিরাও।

মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া এমনই এক দর্শনার্থী মো: ইকবাল জানান, আমি ঢাকার চাকুরী  করি, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। ঈদে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি। নদীর মনোরম পরিবেশে এখানে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে এই মেঘনা পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন করা হলে আরও ভালো লাগবে।

হাসনাহেনা নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, ঈদের দিন বাড়িতেই ছিলাম। আজ কয়েকজন বান্ধবী মিলে নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছি। নদীর পাড়ের শীতল বাতাস ও ঢেউ দেখে ভালোই লেগেছে। এমন মনোরম পরিবেশে এসে নিজেদের কাছে অনেকটা প্রশান্তি মিলেছে।

শান্ত নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ঈদের ছুটি চলছে। তাই অবসর সময় কাটাতে বন্ধুদের নিয়ে এই নদীর পাড়ে এসেছি। আমাদের মতো এখানে অনেকেই পরিবার-পরিজনদের নিয়ে এই মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে এসেছেন।

রাবেয়া নামের অপর দর্শনার্থী বলেন, ঈদ মানে আনন্দ। বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে তেমন একটা ঘোড়া হয় না, তাই ঈদের ছুটিতে সন্তানদেরকে নিয়ে একটু প্রশান্তির জন্য মেঘনা নদীর বারে ঘুরতে এসেছি। নির্মল বাতাস আর নদীর ঢেউয়ে একটা অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে খুব ভালোই লাগছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ জানান, ঈদের শুরু থেকেই আমাদের পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। মানুষজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকে দর্শনার্থী বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছেন। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সেসব দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেল করতে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।