Dhaka ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা বোর্ড

একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি আন্দোলন শুরু করেছে, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে। তারা জানিয়েছে, পরীক্ষা এক মাস পেছানোর জন্য তারা অসহযোগ আন্দোলন করবে। তবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা এ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেছেন, জুন মাসের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষাটি শেষ হওয়ার পরপরই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই আমাদের কাছে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার সরঞ্জামাদি সব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। পরীক্ষার পেছানোর কোনো পরিস্থিতি এ মুহূর্তে নেই।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষার পেছানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পক্ষেই। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ফেসবুকে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫’-এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা একমাস পেছানো এবং প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে ৩-৪ দিন বিরতি রাখার দাবি তুলে ধরেন পরীক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে ১৯ লাখ ২৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে ফল বিপর্যয় হতে পারে। তাই একমাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, এপ্রিল ও মে মাসে প্রচণ্ড গরম পড়ে। গরমে একটানা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। গরমের মধ্যে টানা পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্রও দূরে। তাই প্রত্যেক পরীক্ষায় তিন থেকে চার দিন বন্ধ দিয়ে নতুন রুটিন করতে হবে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী- আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে।এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। দেশের বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ বা অস্থিরতা না ঘটলে সাধারণত পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয় না। এছাড়া, তারা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের এসব গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনার আড়ংঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক জন আহত হয়েছেন

এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা বোর্ড

Update Time : ১০:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি আন্দোলন শুরু করেছে, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে। তারা জানিয়েছে, পরীক্ষা এক মাস পেছানোর জন্য তারা অসহযোগ আন্দোলন করবে। তবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা এ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেছেন, জুন মাসের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষাটি শেষ হওয়ার পরপরই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই আমাদের কাছে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার সরঞ্জামাদি সব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। পরীক্ষার পেছানোর কোনো পরিস্থিতি এ মুহূর্তে নেই।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষার পেছানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পক্ষেই। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ফেসবুকে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫’-এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা একমাস পেছানো এবং প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে ৩-৪ দিন বিরতি রাখার দাবি তুলে ধরেন পরীক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে ১৯ লাখ ২৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে ফল বিপর্যয় হতে পারে। তাই একমাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, এপ্রিল ও মে মাসে প্রচণ্ড গরম পড়ে। গরমে একটানা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। গরমের মধ্যে টানা পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্রও দূরে। তাই প্রত্যেক পরীক্ষায় তিন থেকে চার দিন বন্ধ দিয়ে নতুন রুটিন করতে হবে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী- আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে।এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। দেশের বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ বা অস্থিরতা না ঘটলে সাধারণত পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয় না। এছাড়া, তারা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের এসব গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।