Dhaka ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতারঃ কেএমপি

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়ার প্রত্যয়ে সাঁড়াশী অভিযান চালাচ্ছে। ২ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশ জানতে পারে যে, হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি রোডে সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলা-গুলি হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হরিণটানা এবং আড়ংঘাটা থানা পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন খাইরুল সরদার (২৭), পিতা-সবুর সরদার, সাং-কাঁঠালতলা, থানা-ডুমুরিয়া, জেলা-খুলনাকে সনাক্ত করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অস্ত্র কিনতে গিয়ে অস্ত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় অসর্তকতার কারণে তার হাতে থাকা পিস্তলের গুলি ফায়ার হয়ে তার বাম হাতের তালুতে লেগে জখমপ্রাপ্ত হয়।
তখন তাকে নিয়ে হরিণটানা থানা পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশ সহযোগে ৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সকাল থেকে বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গুলিবিদ্ধ খাইরুল অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক হোসেনের বাড়ি দেখায়ে দিলে ফারুক হোসেন (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, সাং-চরকচুড়িয়া, থানা ও জেলা-পিরোজপুর, এ/পি সাং-বাঙ্গালবাড়ি রোড (জনৈক শফিকুল ইসলামের ভাড়াটিয়া), থানা-হরিণটানা, খুলনা এর বাড়ি তল্লাশী করা হয়। এসময় ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে অস্ত্র আছে বলে স্বীকার করে। এক পর্যায়ে তার দেখানো মতে তার রান্না ঘরে থাকা জ্বালানি কাঠের স্তুপের মধ্য থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, তার বসত ঘরের মধ্যে থাকা টিনের বাক্সে রাখা একটি শটগান এবং শটগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ঘরের ভিতরের দেওয়ালের উপর থেকে পিস্তলের ৮ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১ রাউন্ড এমটি কার্তুজ, তার বসত ঘরের খাটের নিচ থেকে ১ টি বড় রামদা উদ্ধার করা হয়।
এরপর অবৈধ অস্ত্র বেচা-কেনার কাজে ব্যবহৃত ১ টি মোটরসাইকেল এবং ১ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত শটগান এবং শটগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র গোলা-বারুদ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং দু্স্কৃতৃকারীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র কেনা-বেচা করে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদমা আছে কি-না তা যাচাই করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের সহযোগীদের গ্রেফতার এবং আরও অস্ত্র গোলা-বারুদ উদ্ধারের জন্য অভিযান এখনো চলমান।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে গভীর রাতে রড ছাড়াই আরসিসি রাস্তা ঢালাই জনরোষে ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যায়

পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতারঃ কেএমপি

জন দেখেছেন : ০৯:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সন্ত্রাসমুক্ত নগর গড়ার প্রত্যয়ে সাঁড়াশী অভিযান চালাচ্ছে। ২ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশ জানতে পারে যে, হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি রোডে সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের মধ্যে গোলা-গুলি হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হরিণটানা এবং আড়ংঘাটা থানা পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন খাইরুল সরদার (২৭), পিতা-সবুর সরদার, সাং-কাঁঠালতলা, থানা-ডুমুরিয়া, জেলা-খুলনাকে সনাক্ত করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, হরিণটানা থানাধীন বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অস্ত্র কিনতে গিয়ে অস্ত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় অসর্তকতার কারণে তার হাতে থাকা পিস্তলের গুলি ফায়ার হয়ে তার বাম হাতের তালুতে লেগে জখমপ্রাপ্ত হয়।
তখন তাকে নিয়ে হরিণটানা থানা পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশ সহযোগে ৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সকাল থেকে বাঙ্গালবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গুলিবিদ্ধ খাইরুল অস্ত্র বিক্রেতা ফারুক হোসেনের বাড়ি দেখায়ে দিলে ফারুক হোসেন (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, সাং-চরকচুড়িয়া, থানা ও জেলা-পিরোজপুর, এ/পি সাং-বাঙ্গালবাড়ি রোড (জনৈক শফিকুল ইসলামের ভাড়াটিয়া), থানা-হরিণটানা, খুলনা এর বাড়ি তল্লাশী করা হয়। এসময় ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে অস্ত্র আছে বলে স্বীকার করে। এক পর্যায়ে তার দেখানো মতে তার রান্না ঘরে থাকা জ্বালানি কাঠের স্তুপের মধ্য থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, তার বসত ঘরের মধ্যে থাকা টিনের বাক্সে রাখা একটি শটগান এবং শটগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ঘরের ভিতরের দেওয়ালের উপর থেকে পিস্তলের ৮ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১ রাউন্ড এমটি কার্তুজ, তার বসত ঘরের খাটের নিচ থেকে ১ টি বড় রামদা উদ্ধার করা হয়।
এরপর অবৈধ অস্ত্র বেচা-কেনার কাজে ব্যবহৃত ১ টি মোটরসাইকেল এবং ১ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত শটগান এবং শটগানের ৭ রাউন্ড কার্তুজ বাংলাদেশ পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র গোলা-বারুদ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং দু্স্কৃতৃকারীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র কেনা-বেচা করে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদমা আছে কি-না তা যাচাই করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের সহযোগীদের গ্রেফতার এবং আরও অস্ত্র গোলা-বারুদ উদ্ধারের জন্য অভিযান এখনো চলমান।