সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে ৮২বিঘা জমি দখলের অভিযোগ করে নওগাঁর পোরশায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ২০১৪সালে এমপি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার জোরে সাধন মজুমদারের নির্দেশে তার দোসর পোরশা সদরের নজরুল ইসলাম গংদের দিয়ে জমির মালিক আসাদের ওয়ারিশদের বাড়ির খলায় রাখা ৮২বিঘা জমির পালার ধান জোর করে মেড়ে নিয়ে যায়। এবং জমিগুলো তখন থেকে তারা দখলে নিয়ে নেয়। সে সময়ে বিভিন্ন জাগায় অভিযোগ ও মামলা করেও কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা। গত ৫আগষ্টে সরকার পরিবর্তনের পর আসাদের পরিবার ঐ জমিগুলো দখলে নেন এবং চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ করেন। কিন্তু গত ১সপ্তাহ পূর্বে নজরুল গংরা ঐ জমিতে কীটনাশক দিয়ে ধানগুলো মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন জমির মালিক আসাদের পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভুক্তভোগী পরিবার আসাদ শাহ্ এর নাতি ইসমাইল হোসেন পোরশা সদরে তার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, জমিটি পোরশা উপজেলার সুহাতী মৌজায়। যার খতিয়ান নং ৬৫। জেএল নং ২১৩। খতিয়ানে ৩টি দাগে মোট জমি রয়েছে ২৭একর ৪৯শতাংশ। আরএস রেকর্ড আসাদ শাহ্ নামে রয়েছে। আসাদ শাহ্ আমার আপন দাদা। দাদা মৃত্যুর পর আমার বাবা-চাচারা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। প্রতি বছর আমার বাবা-চাচারা জমিগুলোর খাজনা দিয়ে থাকেন। দাদার আমল থেকেই ঐ জমিগুলো আমরা ভোগ দখল করে আসতাম। কিন্তু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার ও তার দোসর নজরুল গংরা আমাদের জমিগুলো ২০১৪সালে দখল করে নেয়। এমনকি আমাদের বাড়ির বাইরে খলায় রাখা পালা থেকে জোর পূর্বক ধান মেড়ে নিয়ে যায়। সে সময়ে তাদের ক্ষমতা থাকায় আমরা বিভিন্ন জাগায় অভিযোগ ও মামলা করেও কোন প্রতিকার পাইনি। গত ৫আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর আমরা ঐ জমিগুলো দখলে নিয়ে নেই এবং চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ করি। কিন্তু গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের দোসর নজরুল গংরা আমাদের জমিতে রোপণ করা ধানগুলো বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে মেরে ফেলেছে। শুধু তাই নয় জমিগুলো তারা আবারো দখল করার পায়তারা করছে বলেও তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন। সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক মৃত আসাদ শাহ্ এর ছেলে সাঈদ শাহ্, তৈয়ব শাহ্, মোস্তফা শাহ্ , আব্দুর রশিদ শাহ্ সহ মৃত আসাদ শাহ্ এর সকল ওয়ারিশগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯২১সালের একটি দলিল মূলে ঐ জমিগুলো ওয়াক্ফ সম্পত্তি। আমরা আরএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য ২০০৫সালে আদালতে মামলা করেছি। তবে এখনও কোন রায় হয়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন।