গাজী যুবায়ের আলম ব্যুরো প্রধান খুলনাঃখুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ধর্ম যার যার কিন্তু বাংলাদেশ সবার। ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পথ দেখাতে সাহায্য করে এবং আধ্যাতিকতার পরিপূর্ণতা দান করে। বাংলাদেশের সংবিধানে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, এ দেশের সব মানুষের ধর্ম ও নিরাপত্তার অধিকার সমান। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ যদি নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ সঠিকভাবে, খোলা মন নিয়ে পাঠ করে, সেই সঙ্গে ধর্মীয় বিধানগুলোর হৃদয়াঙ্গম করে, তাহলে অজ্ঞতার অন্ধকার কেটে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরীর বাগমারা সার্বজনীন শ্রী গোবিন্দ মন্দিরে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর জন্য পতিত শেখ হাসিনা সরকারকে দায়ী করেন তুহিন আরো বলেন, বিগত অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার নিজেদের শাসন-শোষণ থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এখনো সে চেষ্টা চালাচ্ছে। বিতাড়িত স্বৈরাচারের দুঃশাসনের ১৫ বছরে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বা তাদের ধর্মীয় স্থাপনার ওপর যে হামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো যদি নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটা হামলাও কিন্তু ধর্মীয় কারণে সংঘটিত হয়নি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে বিনা বাধায় উপভোগ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্দিও কমিটির সভাপতি অসীম কুমার বিশ্বাস, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর, নাসির উদ্দিন, মনিরুজ্জামান মনি, শ্যামল বিশ্বাস, সমীর সাহা, এস কে রায়, বিনয় সাহা, প্রশান্ত বাছাড়, চন্দ্র পাল, মাসুদুল হক হারুন, বাইজিদ হোসেন, ইকরামুল কবীর মিল্টন, জামাল হোসেন তালুকদার, মনি, জি এম মইনুদ্দিন, ঢালী মো. সালাউদ্দিন, দিলোয়ার হোসেন, আজমল আলী খান শাহীন, শাহিনুল ইসলাম, আইউব আলী, আফজাল হোসেন প্রমূখ।