Dhaka ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের জনগণ ইতিহাসের পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসের পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে নৃশংস সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস ধরে গণহত্যায় লাখ লাখ সাধারণ নারী, পুরুষ, শিশু এবং যুবক-যুবতী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন। আমাদের জনগণ এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং মুক্ত সমাজের আকাঙ্ক্ষা করেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। দুঃখের বিষয় হলো, গত ১৫ বছরে আমাদের জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, ধীরে ধীরে তাদের স্থান এবং অধিকার হ্রাস পেয়েছে। তারা প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গভীর ক্ষয় এবং নাগরিক অধিকার পদদলিত হতে দেখেছে। প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বিনষ্ট করে, যাদের বেশিরভাগই যুবক, যার মধ্যে ১১৮ জন শিশু ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তার ইতিহাসে এক পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী এবং দেশকে মুক্তকারী ছাত্রনেতারা আমাকে আমাদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেক অঞ্চলের আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সরাসরি আলাপচারিতা। ১৯৯৭ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়ার পর থেকে বিমসটেক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমাদের আগমনের পর থেকে আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বিমসটেক সচিবালয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মহাসচিব, রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।

মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে প্রাণহানির পর থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের সরকার এবং জনগণের প্রতি তিনি আন্তরিক সমবেদনা এবং গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মোংলা বন্দরে অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন

বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের জনগণ ইতিহাসের পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে

Update Time : ১২:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসের পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে নৃশংস সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস ধরে গণহত্যায় লাখ লাখ সাধারণ নারী, পুরুষ, শিশু এবং যুবক-যুবতী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন। আমাদের জনগণ এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং মুক্ত সমাজের আকাঙ্ক্ষা করেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। দুঃখের বিষয় হলো, গত ১৫ বছরে আমাদের জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, ধীরে ধীরে তাদের স্থান এবং অধিকার হ্রাস পেয়েছে। তারা প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গভীর ক্ষয় এবং নাগরিক অধিকার পদদলিত হতে দেখেছে। প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বিনষ্ট করে, যাদের বেশিরভাগই যুবক, যার মধ্যে ১১৮ জন শিশু ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তার ইতিহাসে এক পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী এবং দেশকে মুক্তকারী ছাত্রনেতারা আমাকে আমাদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেক অঞ্চলের আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সরাসরি আলাপচারিতা। ১৯৯৭ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়ার পর থেকে বিমসটেক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমাদের আগমনের পর থেকে আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বিমসটেক সচিবালয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মহাসচিব, রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।

মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে প্রাণহানির পর থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের সরকার এবং জনগণের প্রতি তিনি আন্তরিক সমবেদনা এবং গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।