Dhaka ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আহ্বান জানিয়েছেন এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ, এটা কোনো সংস্কৃতির অংশ নয়। যারা ঢাকায় থাকেন তারা এটা চালু করেছেন। এটা আরোপিত সংস্কৃতি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন এবং পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর শরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খান, ইলিশ বাদে অন্য মাছ খান।

উপদেষ্টা বলেন, মানুষ পহেলা বৈশাখে ইলিশ খায় কেমন করে। এসময় তো ইলিশ পাওয়ার কথা না। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই যেহেতু ঢাকায় এটা চালু হয়েছিল। পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা জাটকাই খাবেন। একইসঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন হয়। এসময়টাতে জোরালোভাবে জাটকা সংরক্ষণের বিষয়টাতে সচেতন করার জন্যই আমরা বলেছি।

ফরিদা আখতার বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাতে চাই যে পহেলা বৈশাখে বা এপ্রিল মাসে পান্তা-ইলিশ, কোনোভাবেই এটা আমাদের সংস্কৃতি অংশ নয়। অন্য সময় খেলেও আমাদের কোনো বিষয় না। কিন্তু ১৪ এপ্রিল পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়া হয়, সেটা যেন না খাওয়া হয়, সেই অনুরোধটা করব। কারণ এসময় ইলিশ নয়, জাটকা খাওয়া হয়। সে হিসেবে জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশে রূপান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এ বছর পান্তা-ইলিশ না খাওয়ারও আহ্বান জানাই। কারণ আগে আমাদের জাটকা সংরক্ষণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কোল্ডস্টোরেজ থেকে মজুত করা ইলিশ বাজারে আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই না সেটা বাজারে আসুক। কারণ ইলিশ ও জাটকা একটা কনফ্লিট তৈরি করবে। পহেলা বৈশাখে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খেয়ে ভর্তা, পোড়া মরিচ খেতে পারেন। জেলেরা যদি তাদের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে রেখে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে পারে। তাহলে আমরা কেন একদিন ইলিশ খাওয়া বন্ধ করতে পারব না। সেজন্য আমি অনুরোধ করব, আমরা এই সময়টাতে ইলিশ বা জাটকা না খাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কোনো ভোটেই আর ইভিএম ব্যবহার নয়: ইসি সানাউল্লাহ

এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

Update Time : ০৫:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আহ্বান জানিয়েছেন এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ, এটা কোনো সংস্কৃতির অংশ নয়। যারা ঢাকায় থাকেন তারা এটা চালু করেছেন। এটা আরোপিত সংস্কৃতি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন এবং পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর শরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খান, ইলিশ বাদে অন্য মাছ খান।

উপদেষ্টা বলেন, মানুষ পহেলা বৈশাখে ইলিশ খায় কেমন করে। এসময় তো ইলিশ পাওয়ার কথা না। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই যেহেতু ঢাকায় এটা চালু হয়েছিল। পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা জাটকাই খাবেন। একইসঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন হয়। এসময়টাতে জোরালোভাবে জাটকা সংরক্ষণের বিষয়টাতে সচেতন করার জন্যই আমরা বলেছি।

ফরিদা আখতার বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাতে চাই যে পহেলা বৈশাখে বা এপ্রিল মাসে পান্তা-ইলিশ, কোনোভাবেই এটা আমাদের সংস্কৃতি অংশ নয়। অন্য সময় খেলেও আমাদের কোনো বিষয় না। কিন্তু ১৪ এপ্রিল পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়া হয়, সেটা যেন না খাওয়া হয়, সেই অনুরোধটা করব। কারণ এসময় ইলিশ নয়, জাটকা খাওয়া হয়। সে হিসেবে জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশে রূপান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এ বছর পান্তা-ইলিশ না খাওয়ারও আহ্বান জানাই। কারণ আগে আমাদের জাটকা সংরক্ষণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কোল্ডস্টোরেজ থেকে মজুত করা ইলিশ বাজারে আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই না সেটা বাজারে আসুক। কারণ ইলিশ ও জাটকা একটা কনফ্লিট তৈরি করবে। পহেলা বৈশাখে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খেয়ে ভর্তা, পোড়া মরিচ খেতে পারেন। জেলেরা যদি তাদের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে রেখে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে পারে। তাহলে আমরা কেন একদিন ইলিশ খাওয়া বন্ধ করতে পারব না। সেজন্য আমি অনুরোধ করব, আমরা এই সময়টাতে ইলিশ বা জাটকা না খাই।