গাজায় ফিলিস্তিনি মুসলিম সম্প্রদায় আজ ইসরাইলের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার। সারা ফিলিস্তিন জুড়ে বাতাসে লাশের গন্ধ।পুরো পৃথিবী শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে, কিভাবে মানুষকে হত্যা করছে ইহুদী ইসরাইল বাহিনী।
কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ কিংবা বৃদ্ধার লাশ।
রাফা ও গাঁজা নগরি আজ মাটির সাথে ধুলোয় মিশিয়ে যাচ্ছে। অথচ মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলটিতে তুরস্ক, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি, জর্ডান, ইয়েমেন সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা আমেরিকার তাবেদারী করে এ হত্যাযজ্ঞের তামাশা দেখছে।
ফিলিস্তিনি থেকে সুদূর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার মানুষগুলোর কি আর করার আছে ? উপায়ন্ত না পেয়ে প্রতিবাদে প্রতিবাদে মুখরিত করে ফেলেছে কুড়িগ্রামের আকাশ বাতাস। ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
গাজায় নৃশংস গণহত্যার ধিক্কার জানিয়ে দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সমমনা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
৭ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ আবদুল মতিন ফারুকী এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আদর্শ পৌর বাজার সংলগ্ন উপজেলা মডেল মসজিদের প্রধান গেটে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এতে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি ও কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার প্রমূখ।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কুড়িগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে। ওদিকে, উলিপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল হুদা থেকে আজ বেলা ২ ঘটিকার সময় ধর্মপ্রাণ মানুষজন মিছিলে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। উলিপুর মসজিদুল হুদার সামনে চৌরাস্তার মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল জলিল সরকার, মাওলানা মাসুদুর রহমান শাহাদত বিন শফি, মশিউর রহমান, মাওলানা নূর ইসলাম, জিয়াউর রহমান, শিক্ষার্থী মুকুট মিয়া ও বিথী আক্তার প্রমুখ।
অন্যদিকে, জেলার সবকটি উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে।