Dhaka ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখলে ব্যস্ত এক স্কুল শিক্ষক

অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখলই যেন স্কুল শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নেশা। জমি না কিনেই নিজেকে মালিক বনে সাজাতে মরিয়া এই স্কুল শিক্ষক। অন্যর জমি নিজের নামে রে]কর্ড করতে গিয়ে সরকারি ভাবে একাধিকবার আবেদন বাতিল হওয়ার পরও নিজেকে সামলাতে পাছেননা এই শিক্ষক। এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া গ্রাম।

জানাগেছে,জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পাচিলা মৌজার আর এস ২০ নং খতিয়ান ভুক্ত আর এস দাগ নং – ৪৭০ মোট জমির পরিমান .৭১ শতক যাহার রেকর্ডিয় ওয়ারিশগণ পুত্র আজাহার আলী ও শাহজাহান আলী সর্ব পিতা মৃতঃ নাজেম আলী সরকার প্রাপ্ত অংশ .২৮৬ পয়সা , ও .২৮৫ পয়সা এবং কন্যাগণ শরিফন নেসা বিবি জং মৃতঃ সাহেব আলী, মাজেদা খাতুন বিবি, জং মূত নুর হোসেন, সাজেদা খাতুন জং মৃতঃ মজিবর রহমান, প্রত্যেকের প্রাপ্ত অংশ – ১৪৩ পয়সা যাহার মুসলিম ফারায অনুযায়ী প্রত্যেক ভাই প্রাপ্ত অংশ ২০.৩০৮ শতক এবং প্রত্যেক বোন ১০.১৫ শতাংশ ভুমি।

পাঁচিলা মৌজার জে এল -৫২ আর এস খতিয়ান নং ২০ এর– ৪৭০ দাগের মোট .৭১ শতক ভুমি যাহার মধ্যে পশ্চিম অংশ হতে খলিল ৭ মে ২০০৬ সালে ২৭০৮ নং দলিলে শাহজাহান আলীর নিকট হতে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ৯ মে,২০০৬ সালে ২৮২০ নং দলিলে ৪৭০ নং দাগের .৭১ শতকের মধ্য ছাহাম হতে আবদুল মজিদ ১০.৫০ শতক জমি ক্রয় করে, একই দলিলে আবারও আবদুল মজিদ ৪৭০ দাগের .৭১ শতকের মধ্য ছাহাম হতে ১৫সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ৩৫৩২ নং দলিলে ওয়ারিশ সোহেল রানা, ময়না খাতুন, ফাল্গুনি, রূম্পা, সাহানাজ সর্ব পিতা মৃত কাইয়ুম সরকার, রাবেয়া খাতুন স্বামী মৃতঃ কাইয়ুম সরকার, এর নিকট হতে ১০.৫০ শতক জমি ক্রয় করেন ।

৮ মে ২০০৬ সালে দলিল নং ২৮২১ সাজেদা খাতুন স্বামী মৃতঃ মজিবর রাহমান পিতা মৃতঃ নাজিম উদ্দিন ৪৭০ নং দাগের .৭১ শতকের মধ্য ছাহাম হতে .১০ শতক জমি ছেলে রেজাঊল করিমকে দলিল করে দেন। পাঁচিলা মৌজার ২০ নং খতিয়ানের ৪৭০ নং দাগের .৭১ শতক আর এস রেকর্ডিয় সম্পত্তি মাজেদা বেগম, স্বামী মৃতঃ নুর হোসেন, পিতা মৃতঃ নাজেম আলী সরকার মাতা, মৃতঃ মানিকজান, এর নিকট হতে মোঃ জিন্নাহ ফারুক, পিতা মৃতঃ সাইদুর রহমান, আমশড়া, সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, ১৭ আগষ্ট ২০২১ সালে ২৮৬০ নং দলিলমূলে ক্রয় করেন, যাহার খারিজ খতিয়ান নং-৯৬৯, জে এল নং -৫২ ,হোল্ডিং নং – ৯৭৫, হালসনের খাজনা হালনাগাদ।

উক্ত জমিতে পাঁচলিয়া গ্রামের মৃতঃ জসমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে জোর পূর্বক অবৈধভাবে এক খানা টিনের ঘর নির্মাণ করে, চলমান সরকারি উন্নয়নের জন্য চার লেনের রাস্তা প্রশস্ত করনের উক্ত জমির হাফ শতক জায়গা সরকার উন্নয়ন কাজের জন্য অধিগ্রহন করে। উক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য জিন্নাহ ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুমি অধিগ্রহন শাখায় আবেদন করে, শফিকুল ইসলাম মাস্টার একই দাগের ও জায়গার টাকা প্রাপ্তির আবেদন দাখিল করে।

জেলা প্রশাসক , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভুমি অধিগ্রাহন কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার উভয় পক্ষের মূল কাগজপত্র ফিরিস্তি আকারে জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে। নোটিশ পাওয়ার পরে জিন্নাহ ফারুক ফিরিস্তি আকারে সকল মূল কাগজ পত্র ভুমি অধিগ্রহন শাখায় জমা প্রদান করে। পক্ষান্তরে শফিকুল ইসলাম মাস্টার এর বৈধ কোন কাগজ না থাকায় তাকে ক্ষতিপূরণের কোন টাকা প্রদান করা হয়নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২৫মে ২০২২ তারিখে ১,৫৮,৬০৬/৬৪ সি জি এ চেকের মাধ্যমে ভুমি অধিগ্রহন শাখা হতে জিন্নাহ ফারুককে উক্ত টাকা প্রদান করে।

এমতাবস্থায় জিন্নাহ ফারুকের ক্রয় করা নিজ জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ১৯ সেম্টম্বর ২০২১সালে শফিকুল ইসলাম মাস্টার (৫০) নজরুল ইসলাম (৬০) মেহেদী হাসান সুজন (৩০) সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জিন্নাহ ফারুক সলঙ্গা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে যার জিডি নং- ১০৬৭/২১ ।

সলঙ্গা থানার এস আই শরিফুল ইসলাম বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং শফিকুল ইসলাম মাস্টারের উক্ত জমিতে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরবর্তীতে জিন্নাহ ফারুক ১৯ ফেব্রয়ারি ২০২২ তারিখে উক্ত জায়গায় এলাকার গণ্যমান্য বাক্তি ও সকল শ্রেনী পেশার মানুষ নিয়ে সামাজিক শালিস বৈঠকের আয়োজন করে, উক্ত বৈঠকে উভয় পক্ষের মূল কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়, জিন্নাহ ফারুকের সকল মূল কাগজপত্র জমা দিলেও শফিকুল মাস্টারের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে অবৈধ দখলদার হিসেবে ঘোষনা করে এবং উক্ত দাগের জায়গা হতে অবৈধ ভাবে নির্মিত টিনের ঘরটি সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু আজ পর্র্যন্ত ঘরটি না সরিয়ে জায়গাটি দখল করে রেখেছেন।

এনিয়ে জিন্নাহ ফারুকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মোঃ মাসুদ রানা ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা, সিরাজগাঞ্জ উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ১৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে শফিকুল ইসলাম মাস্টারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে চিঠি প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
একাধিক চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শফিকুল তার ভাই জহুরুল ইসলামকে দিয়ে ১২মে ২০২৪ ইং তারিখে পাচিল ভুমি অফিসে একই দাগের উপরে খারিজের আবেদন করে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং জমির স্থিতি না থাকায় আবেদনটি নামঞ্জুর এবং মামলা নিস্পত্তি হিসেবে গণ্য হয় ।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভুমি কমকর্তা বেলাল হোসেন বলেন শফিকুল ইসলাম মাস্টার এবং তার ভাই জহুরুল ইসলাম উক্ত জমির কোন মালিকানা ওয়ারিশ না হওয়ায়, এবং জমির স্থিতি না থাকায় তাদের নামজারি আবেদন টি এসিল্যান্ড অফিস হতে বাতিল করা হয়। ভুমি সহকারি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান আমি হাটিকুমরুল ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মাস্টার উক্ত দাগের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি, হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভূমি কমকতা মঈন উদ্দিন জানান হাটিকুমরুল ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মাস্টার নামজারি আবেদনের করে, যাচাই বাছাই করে তার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আবেদন টি বাতিল বলে গন্য হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ওই শিক্ষক নিজেই একটি রাজনৈতিক দলের খোলস পরে জায়গাটি দখল মুক্ত করছেনা।

এবিষয়ে জায়গার মালিক জিন্নাহ ফারুক জানান,সামাজিক প্রসাসনিক সবদিক থেকে অবৈধ হওয়ার পরও এজনের জায়গা দখল করে থাকার এতো শক্তি কি করে হয় তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এথেকে পরিত্রাণসহ জায়গা দখল মুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি। #

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে

সিরাজগঞ্জে অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখলে ব্যস্ত এক স্কুল শিক্ষক

জন দেখেছেন : ০৬:১৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখলই যেন স্কুল শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নেশা। জমি না কিনেই নিজেকে মালিক বনে সাজাতে মরিয়া এই স্কুল শিক্ষক। অন্যর জমি নিজের নামে রে]কর্ড করতে গিয়ে সরকারি ভাবে একাধিকবার আবেদন বাতিল হওয়ার পরও নিজেকে সামলাতে পাছেননা এই শিক্ষক। এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া গ্রাম।

জানাগেছে,জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পাচিলা মৌজার আর এস ২০ নং খতিয়ান ভুক্ত আর এস দাগ নং – ৪৭০ মোট জমির পরিমান .৭১ শতক যাহার রেকর্ডিয় ওয়ারিশগণ পুত্র আজাহার আলী ও শাহজাহান আলী সর্ব পিতা মৃতঃ নাজেম আলী সরকার প্রাপ্ত অংশ .২৮৬ পয়সা , ও .২৮৫ পয়সা এবং কন্যাগণ শরিফন নেসা বিবি জং মৃতঃ সাহেব আলী, মাজেদা খাতুন বিবি, জং মূত নুর হোসেন, সাজেদা খাতুন জং মৃতঃ মজিবর রহমান, প্রত্যেকের প্রাপ্ত অংশ – ১৪৩ পয়সা যাহার মুসলিম ফারায অনুযায়ী প্রত্যেক ভাই প্রাপ্ত অংশ ২০.৩০৮ শতক এবং প্রত্যেক বোন ১০.১৫ শতাংশ ভুমি।

পাঁচিলা মৌজার জে এল -৫২ আর এস খতিয়ান নং ২০ এর– ৪৭০ দাগের মোট .৭১ শতক ভুমি যাহার মধ্যে পশ্চিম অংশ হতে খলিল ৭ মে ২০০৬ সালে ২৭০৮ নং দলিলে শাহজাহান আলীর নিকট হতে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ৯ মে,২০০৬ সালে ২৮২০ নং দলিলে ৪৭০ নং দাগের .৭১ শতকের মধ্য ছাহাম হতে আবদুল মজিদ ১০.৫০ শতক জমি ক্রয় করে, একই দলিলে আবারও আবদুল মজিদ ৪৭০ দাগের .৭১ শতকের মধ্য ছাহাম হতে ১৫সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ৩৫৩২ নং দলিলে ওয়ারিশ সোহেল রানা, ময়না খাতুন, ফাল্গুনি, রূম্পা, সাহানাজ সর্ব পিতা মৃত কাইয়ুম সরকার, রাবেয়া খাতুন স্বামী মৃতঃ কাইয়ুম সরকার, এর নিকট হতে ১০.৫০ শতক জমি ক্রয় করেন ।

৮ মে ২০০৬ সালে দলিল নং ২৮২১ সাজেদা খাতুন স্বামী মৃতঃ মজিবর রাহমান পিতা মৃতঃ নাজিম উদ্দিন ৪৭০ নং দাগের .৭১ শতকের মধ্য ছাহাম হতে .১০ শতক জমি ছেলে রেজাঊল করিমকে দলিল করে দেন। পাঁচিলা মৌজার ২০ নং খতিয়ানের ৪৭০ নং দাগের .৭১ শতক আর এস রেকর্ডিয় সম্পত্তি মাজেদা বেগম, স্বামী মৃতঃ নুর হোসেন, পিতা মৃতঃ নাজেম আলী সরকার মাতা, মৃতঃ মানিকজান, এর নিকট হতে মোঃ জিন্নাহ ফারুক, পিতা মৃতঃ সাইদুর রহমান, আমশড়া, সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, ১৭ আগষ্ট ২০২১ সালে ২৮৬০ নং দলিলমূলে ক্রয় করেন, যাহার খারিজ খতিয়ান নং-৯৬৯, জে এল নং -৫২ ,হোল্ডিং নং – ৯৭৫, হালসনের খাজনা হালনাগাদ।

উক্ত জমিতে পাঁচলিয়া গ্রামের মৃতঃ জসমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে জোর পূর্বক অবৈধভাবে এক খানা টিনের ঘর নির্মাণ করে, চলমান সরকারি উন্নয়নের জন্য চার লেনের রাস্তা প্রশস্ত করনের উক্ত জমির হাফ শতক জায়গা সরকার উন্নয়ন কাজের জন্য অধিগ্রহন করে। উক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য জিন্নাহ ফারুক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুমি অধিগ্রহন শাখায় আবেদন করে, শফিকুল ইসলাম মাস্টার একই দাগের ও জায়গার টাকা প্রাপ্তির আবেদন দাখিল করে।

জেলা প্রশাসক , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভুমি অধিগ্রাহন কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার উভয় পক্ষের মূল কাগজপত্র ফিরিস্তি আকারে জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে। নোটিশ পাওয়ার পরে জিন্নাহ ফারুক ফিরিস্তি আকারে সকল মূল কাগজ পত্র ভুমি অধিগ্রহন শাখায় জমা প্রদান করে। পক্ষান্তরে শফিকুল ইসলাম মাস্টার এর বৈধ কোন কাগজ না থাকায় তাকে ক্ষতিপূরণের কোন টাকা প্রদান করা হয়নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২৫মে ২০২২ তারিখে ১,৫৮,৬০৬/৬৪ সি জি এ চেকের মাধ্যমে ভুমি অধিগ্রহন শাখা হতে জিন্নাহ ফারুককে উক্ত টাকা প্রদান করে।

এমতাবস্থায় জিন্নাহ ফারুকের ক্রয় করা নিজ জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ১৯ সেম্টম্বর ২০২১সালে শফিকুল ইসলাম মাস্টার (৫০) নজরুল ইসলাম (৬০) মেহেদী হাসান সুজন (৩০) সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জিন্নাহ ফারুক সলঙ্গা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে যার জিডি নং- ১০৬৭/২১ ।

সলঙ্গা থানার এস আই শরিফুল ইসলাম বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং শফিকুল ইসলাম মাস্টারের উক্ত জমিতে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরবর্তীতে জিন্নাহ ফারুক ১৯ ফেব্রয়ারি ২০২২ তারিখে উক্ত জায়গায় এলাকার গণ্যমান্য বাক্তি ও সকল শ্রেনী পেশার মানুষ নিয়ে সামাজিক শালিস বৈঠকের আয়োজন করে, উক্ত বৈঠকে উভয় পক্ষের মূল কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়, জিন্নাহ ফারুকের সকল মূল কাগজপত্র জমা দিলেও শফিকুল মাস্টারের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে অবৈধ দখলদার হিসেবে ঘোষনা করে এবং উক্ত দাগের জায়গা হতে অবৈধ ভাবে নির্মিত টিনের ঘরটি সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু আজ পর্র্যন্ত ঘরটি না সরিয়ে জায়গাটি দখল করে রেখেছেন।

এনিয়ে জিন্নাহ ফারুকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মোঃ মাসুদ রানা ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা, সিরাজগাঞ্জ উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ১৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখে শফিকুল ইসলাম মাস্টারকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে চিঠি প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
একাধিক চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শফিকুল তার ভাই জহুরুল ইসলামকে দিয়ে ১২মে ২০২৪ ইং তারিখে পাচিল ভুমি অফিসে একই দাগের উপরে খারিজের আবেদন করে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং জমির স্থিতি না থাকায় আবেদনটি নামঞ্জুর এবং মামলা নিস্পত্তি হিসেবে গণ্য হয় ।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভুমি কমকর্তা বেলাল হোসেন বলেন শফিকুল ইসলাম মাস্টার এবং তার ভাই জহুরুল ইসলাম উক্ত জমির কোন মালিকানা ওয়ারিশ না হওয়ায়, এবং জমির স্থিতি না থাকায় তাদের নামজারি আবেদন টি এসিল্যান্ড অফিস হতে বাতিল করা হয়। ভুমি সহকারি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান আমি হাটিকুমরুল ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মাস্টার উক্ত দাগের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি, হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভূমি কমকতা মঈন উদ্দিন জানান হাটিকুমরুল ভূমি অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মাস্টার নামজারি আবেদনের করে, যাচাই বাছাই করে তার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আবেদন টি বাতিল বলে গন্য হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ওই শিক্ষক নিজেই একটি রাজনৈতিক দলের খোলস পরে জায়গাটি দখল মুক্ত করছেনা।

এবিষয়ে জায়গার মালিক জিন্নাহ ফারুক জানান,সামাজিক প্রসাসনিক সবদিক থেকে অবৈধ হওয়ার পরও এজনের জায়গা দখল করে থাকার এতো শক্তি কি করে হয় তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এথেকে পরিত্রাণসহ জায়গা দখল মুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি। #